রাজ্য

ঘোষনায় সার, বুলবুল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক,শ্রমিক পরিবার এখনো পাইনি সরকারি সাহায্য।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৭ই ডিসেম্বর:-বুলবুল ক্ষতিগ্রস্ত দের এখনো কোনো সাহায্য মেলেনি_ বুলবুল বিপর্যয় এর ক্ষতিপূরণ এর কথা ঘোষণা করেছে সরকার ।ক্ষয়ক্ষতির হিসাবও করেছেন আধিকারিকরা।। কিন্তু তালিকায় নাম নেই বহু ক্ষতিগ্রস্তদের।। তাদের বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও গরীব মানুষ।। শুধুমাত্র ত্রিপল দিয়ে কাজ সারছে সরকার।।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষকসভার সদস্য সত্যরঞ্জন দাস প্রশ্ন তুলেছেন কারুর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে কী করে ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করা হল??? তাছাড়া প্রায় একমাস হতে চলেছে কেউই কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি।। কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের কৃষক হিমাংশু পান্ডা বলেন ফনীর থেকে তিনগুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে বুলবুল এ।। রাজ্যসরকার ১ লক্ষ ৯১ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত ঘোষণা করেছেন।। ৩০১২ মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত বলে আগেই জানিয়েছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ।।খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা আশিস প্রামাণিক জানান প্রকৃত অসংখ্য উপভোক্তা বঞ্চিত হবেন।।পানচাষীদের পানের বরজ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে।। ক্ষতিপূরণ পাননি তারা।।

চলতি বছরের জেলায় মোট ২ লক্ষ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয় ।। সরকার ১ লক্ষ৯১ হাজার হেক্টর জমিকে ক্ষতিগ্রস্ত ঘোষণা করে।। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষি সহ অধিকর্তা ২৯ শে নভেম্বর জানান বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্যসরকার ২০৫কোটি৬৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন।। জেলা কৃষি দফতর ধান,পান, সবজি, ফুল ইত্যাদি সব মিলিয়ে ৫৮৫কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার ফসল ক্ষতির রিপোর্ট পাঠিয়েছে। টাকা বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু কোনো সাহায্য আসে নি।। সিপিআইএম নেতা নিরঞ্জন সিহি বলেছেন প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষের মতো কৃষক,পানচাষী,খেতমজুর ক্ষতিগ্রস্ত।। প্রত্যেক কে চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। লঙমার্চ শেষ হলে ২৫ টি ব্লক এ কৃষক সভা ও খেতমজুর ইউনিয়ন সন্মিলিত ভাবে ডেপুটেশন দেবে বলে জানান কৃষক নেতা সত্যরঞ্জন দাস।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।