দেশ রাজ্য

পশুপ্রেমী ‘নিরিবিলি’-র মিতালী গুপ্ত’রাও আছেন এই দুনিয়ায়


রত্না দাস : চিন্তন নিউজ: ৪ঠা জুন:- কেরালায় গর্ভবতী হাতির ভয়াবহ মৃত্যু নিয়ে নেট দুনিয়া যখন তোলপাড় তখনই বিপরীত ছবি দেখা গেল ঝাড়গ্রামে।’ নিরিবিলি’র মালকিন তথা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষিকা হাতিকে বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনিতে প্রত্যেক বছর জুন-জুলাই মাসে দলমার হাতির দল আসে।গড় শালবনিতে থাকা কয়েকশো বিঘা জমিতে রয়েছে আম জাম কাঁঠাল লিচু বাগান। এই ফল খেতেই আসে হাতির দল। কয়েক মাস এখানে থেকে আবার তারা অন্যত্র চলে যায় । কখনো কখনো একটি-দুটি হাতি দলছুট হয়ে এলাকায় থেকে যায় বনদপ্তরের খাতায় যারা ‘রেসিডেন্সিয়াল’ হাতি বলেই পরিচিত। হামেশাই এমনই হাতির দেখা মেলে গড় শালবনির জঙ্গলে।

এই গড় শালবনিতে থাকেন রনজয় ও মিতালী গুপ্ত। চাকরি থেকে অবসরের পর কলকাতা ছেড়ে গত কয়েক বছর ধরে এখানেই রয়েছেন। তারা জঙ্গলের মাঝে থাকা তাদের বাড়িটির নাম ‘নিরিবিলি ‘। অনেক সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে’ নিরিবিলিতে’ এসে আশ্রয় নেয় হাতিরা। আর হাতিরা এলে জলের পাম্প খুলে দেন গুপ্ত দম্পতি। গরমে মনের আনন্দে জল খাওয়ার পর শুঁড়ে তুলে মাঝেমধ্যে মাথায় ছিটিয়ে নেয় হাতির দল।গত দুদিন ধরে ‘নিরিবিলিতে ‘ এসে আশ্রয় নিয়েছে একটি হাতি।শান্ত স্বভাবের এই বুনো হাতিটিকে তেমন কেউ উত‍্যক্ত না করলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।

‘নিরিবিলির ‘ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মিতালী বলেন, ‘মঙ্গলবার রান্নাঘর থেকে দেখলাম হাতিটি বাগানে দাঁড়িয়ে খুব কাঁদছে। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। ওর শুঁড়ে ক্ষত রয়েছে। গাছ থেকে আম কাঁঠাল লিচু কিছুই পেড়ে খেতে পারছে না। তাই ডিএফওর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়ে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওর ছবি পোস্ট করেছি। যাতে হাতিটার চিকিৎসার একটা ব্যবস্থা করা যায়।’

অসুস্থ হাতির কথা জেনে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বলেন, ‘ অনেক সময় ছোট ছোট আঘাত থাকে যা নিজের থেকে সেরে যায়।তাই আমরা হাতিটির উপর নজর রাখছি। যদি আঘাত বা ক্ষতের জায়গাটি বাড়তে থাকে তখন বেহুঁশ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হবে। ‘


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।