সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৩ই আগস্ট:- নদীয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে মীরজাফর – মীরকাশিম এর বিশ্বাসঘাতকতায় ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্ত গিয়েছিল।তারপর প্রায় দু’শো বছরের পরাধীনতার গ্লানি কাটিয়ে বহু রক্তস্নাত পথে ,বহু স্বাধীনতা বিপ্লবীর স্বার্থ ত্যাগের মধ্যে দিয়ে আসে ভারতের প্রিয় স্বাধীনতা। আর এবারের স্বাধীনতার গুরুত্ব একেবারেই অন্যরকম। ৭৪ বছর পেরিয়ে স্বাধীনতা ৭৫ বছরে পড়বে। সারাদেশে আড়ম্বের সাথে পালিত হবে ভারতের স্বাধীনতা দিবস।কিন্তু সকলের অজান্তে পড়ে আছে ইতিহাসের সেই কলঙ্কময় পলাশীর প্রান্তর যেখানে ১৮৫৭ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লা পরাজিত হয়েছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কাছে।
৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপর রয়েছে এক বিশাল গেট। গেটের নীচ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে খানিকটা গেলেই সেই পলাশীর প্রান্তর। এই প্রান্তরে রয়েছে একটি মনুমেন্ট। তাতে লেখা রয়েছে ” ব্যাটেলফিল্ড অফ পলাশী”- কয়েকবছর আগেও এখানে চোখে পড়ার মতো কিছু ছিল না। পরে পলাশী যুদ্ধের ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০০৭ সালে তৈরী হয় এই মনুমেন্ট। ভারত,বাংলাদেশ ও পাকিস্থানের পিপিলস ফোরামের উদ্যোগেই এই মনুমেন্ট তৈরী হয়। তারপর থেকে এর অঞ্চলের খবর আর কেউ রাখেনি। শুধুমাত্র মনুমেন্টের গায়ে লেখা রয়েছে পলাশীর যুদ্ধের কলঙ্কময় ইতিহাস। আর রয়েছে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লার একটি আবক্ষ মূর্তি।
অনেকেই হয়তো জানেন না নদীয়া জেলার এই প্রান্তরে ভারতের স্বাধীনতার সূ্র্য অস্ত গিয়েছিল।সরকারী ব্যার্থতায় রণভূমি আজ বনজঙ্গল ও ঘাসে ভর্তি। কোন নজর নেই এই মহাঐতিহাসিক স্থানের। এলাকার মানুষের ক্ষোভ কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোন নজর নেই এই পলাশীর প্রান্তরের।অবিলম্বে এই জায়গার সংস্কারের দাবী করছেন নদীয়া বাসি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন এমন ঐতিহাসিক জাগয়া তার কোন রক্ষণাবেক্ষণ নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পূর্ন উদাসীন ।
ইতিহাসবিদ কেশব চন্দ্র হালদারের আক্ষেপ বর্তমান প্রজন্ম সিরাজদৌল্লা বা পলাশীর যুদ্ধ সমন্ধে তেমন অবগত নয়। সরকারের উচিৎ এই অঞ্চলের ইতিহাস যাতে সকলে জানতে পারে তার যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহন করা।