কলমের খোঁচা

সাম্প্রদায়িকতার শিকড় বিস্তারে আমাদের ভূমিকা গৌতম রায়



চিন্তন নিউজ:৯ই জুুুন: বিভাগোত্তর পশ্চিমবঙ্গে , অবিভক্ত বাংলার রাজনীতিকদের ভিতরে যাঁরা ধর্ম পরিচয়ে মুসলমান ছিলেন, তাঁদের ঘিরে সম্পূর্ণ নেতিবাচক চর্চাই হয়। এই ধারাতে সম্প্রীতি চর্চার ক্ষেত্রটি ও ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্থ হয়।অথচ কি রাজীতিকেরা , কি সমাজবিজ্ঞানীরা, কেউ ই এই দিকটা নিয়ে সেভাবে ভাবনাচিন্তাই করেন নি।

আবুল কাশেম, আবুল হাশেম, গজনভী ভাইয়েরা, এমন কি নবাব সালিমুল্লাহকে শ্রেণীচিন্তার নিরিখে বিচার করাই হয় না। সালিমুল্লাহের বৈমাত্রেয় ভাই আতিকুল্লাহ, যিনি বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধতা করেছিলেন, তাঁকে ঘিরেও কোনো আলোচনা নেই।বিভাগপূর্ব বাংলাতে কমিউনিস্ট পরিমন্ঠলের বাইরে যেসব রাজনীতিক জন্মসূত্রে মুসলমান ছিলেন, তাঁদের ঐতিহাসিক ভূমিকা ঘিরে অতীতে কংগ্রেস আমলে যেমন কোনো আলোচনা হয় নি, তেমন ই কোনো আলোচনা হয় নি বামেদের শাসনকালেও।এরফলে রাজনৈতিক হিন্দুদের যে ধারাবাহিক প্রচার, তাতে একদম স্কুল পড়ুয়াদের থেকেই এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে , বাংলার প্রেক্ষিতে মুসলমান সমাজের কোনো অবদান নেই, তাই ই নয়, মুসলমান সমাজের ভূমিকাটা নেতিবাচক।বস্তুত হিন্দু সাম্প্রদায়িকেরা নিজেদের ব্রিটিশ তোষণকারী ভূমিকা চেপে রাখতেই , মুসলমান সমাজ এবং যেসব রাজনীতিকেরা জন্মসূত্রে মুসলমান ছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে গিয়েছেন ধারাবাহিক ভাবে।আর এই নেতিবাচক ধারণাকে খন্ডন করে, প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরবার ক্ষেত্রে কি কংগ্রেসী আমল, কি বামেদের দীর্ঘ শাসনকাল, কি আজকের তৃণমূল কংগ্রেস, কেউ ই এতোটুকু কখনোই আন্তরিক ভাবে যত্নবান হন নি।

বঙ্গভঙ্গের শতবর্ষ উদযাপনে গোটা বিষয়টি এমন ভাবে চর্চিত হলো, যেখান থেকে এই ধারণাই উঠে এসেছে যে, মুসলমান সমাজের যে অংশ বহু আর্থ- সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কারণে বঙ্গভঙ্গকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা পরবর্তীকালের বিচ্ছিন্ধতার গোড়াপত্তন করেছেন।

ব্রিটিশের নীতি কিভাবে তাদের শ্রেণীস্বার্থেই হিন্দুকে আধুনিক চেতনার দিকে অগ্রবর্তী হতে দিয়ে , মুসলমানকে একটা মানসিক সঙ্কটে ঠেলে দিয়েছে, যে মানসিক সঙ্কট ই পরবর্তীতে ব্রিটিশের টোপ গিলতে বাধ্য হয়েছে বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে– এটা গোটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টি বঙ্গভঙ্গের শতবর্য উদযাপনে এই বঙ্গে উঠেই আসে নি।বরংচ বঙ্গভঙ্গের শতবর্ষ উদযাপনে আবেগ এমন একটা উগ্রতার দিকে গিয়েছিল যাকে শ্যভিনিজমের একটা পর্যায় বলা যেতে পারে।এই কাজে নিজেদের বামপন্থী বলে দাবি করা চিন্তকদের একটি বড় অংশ , বুঝে হোক , না বুঝে হোক, যে ভূমিকা ২০০৫ সালে পালন করেছিলেন, তা মনোজগতে বিশেষ ইতিবাচক হয়েছিল বলে মনে হয় না।

আমাদের জাতীয় আন্দোলনে বাংলাতে জন্মসূত্রে মুসলমান যেসব নেতৃত্ব যুক্ত ছিলেন, তার একটা বড়ো অংশ দেশভাগের পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্থানে চলে যান।ফজলুল হক, আবুল মনসুর আহমদ, হোসেন শাহিদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশেম প্রমুখ যেসব মানুষেরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ভিত কাঁপিয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁরা চলে যান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানে।মুজফফর আহমদ, আবদুল হালিমের মতো মানুষেরা এ পার বাংলায় থেকে যান।’৪৬ এর দাঙ্গার আগুন গোটা বাংলায় না ছড়ানোর ক্ষেত্রে যে তেভাগা আন্দোলনের একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতৃত্ব সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ দেশভাগের অব্যবহিত পরেই তাঁর পার্টির নির্দেশে থেকে যান পূর্ব পাকিস্থানেই।বর্ধমানের সন্তান মনসুর হবিবুল্লাহ আজকের বাংলাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পরিবর্তিত রূপ পশ্চিম পাকিস্থানের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের মানুষকে জাগাবার ক্ষেত্রে প্রথম ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।পশ্চিম পাকিস্থানের যে বাঙালি বিরোধী সাম্রাজ্যবাদী অবস্থান, যার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ফসল, আজকের স্বাধীন , সার্বভৌম পাকিস্থান, পূর্ববঙ্গে ব্রিটিশের চলে যাওয়ার পর , পশ্চিমের ব্রিটিশের অনুকরণে সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে জাতি- ধর্ম- বর্ণ- লিঙ্গ নির্বিশেষে বাঙালিকে প্রথম সচেতন করেছিলেন কমিউনিস্টরা।আর তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ।

স্বাধীন ভারতে বাংলায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দীর মতো মানুষের অবদানের উল্লেখ প্রায় নেই ই।উচ্চ শিক্ষায় এইসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কথা সামান্য কিছু আলোচনা হয় বটে।তবে এই আলোচনাটা বেশিরভাগ সীমাবদ্ধ থাকে গবেষণা স্তরে।স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে এইসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা প্রায় ব্রাত্য হয়েই থাকেন।স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে এঁদের ঘিরে যে ধরণের আচরণ দেখা যায়, তাতে সহজেই অনুমাণ করতে পারা যায় যে, স্কুল শিক্ষার স্তরে এইসব মানুষদের ভাগ্যে কতোটুকু শিকে ছেঁড়ে!

এমন টা কি হওয়া উচিত ছিল? ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দি, আবুল মনসুর আহমদ প্রমুখদের অবিভক্ত বাংলার রাজনীতিতে যে ব্যাপ্তি ছিল, জ্যোতি বসু , মুজফফর আহমদের ব্যাপ্তির পরিধি র ক্ষেত্রে পর্যায় টা তেমন ছিল না।মুজফফর আহমদ পূর্ববঙ্গের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যতোটা যুক্ত থেকেছেন, রাজনৈতিক আঙ্গিকে ততোটা থাকেন নি।তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড অনেকবেশি ব্যাপাত ছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরভারতে।জ্যোতি বাবু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সংসদীয় পর্ব শুরু করেছিলেন রেল শ্রমিক নির্বাচন কেন্দ্রের ভিতর দিয়ে।দেশ ভাগের আগে অখন্ড বাংলায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিস্তারের পরিপূর্ণ সুযোগ ফজলুল হকেদের মতো জ্যোতি বাবু পান নি। অথচ আজকের বাংলাদেশে একজন বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি কিংবা বাণিজ্য স্তরের অধ্যয়নরত ছাত্র খুব সহজেই অন্তত পাঁচ মিনিট বলতে পারে জ্যোতি বাবু , মুজফফর আহমদ , এমন কি মনসুর হবিবুল্লাহের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে?

নিবন্ধকারের এ প্রসঙ্গে বেশ মজার একটি অভিজ্ঞতা আছে।ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দি তো দূরের কথা।এক আগমার্কা প্রাক্তন বামপন্থী ছাত্র নেতা তথা অধুনা নামী অধ্যাপক নিবন্ধকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন; আচ্ছা , হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীই তো গীতা মুখোপাধ্যায়? নিবন্ধকারের মুখ থেকে খানিকটা সময় কথা সরে নি। এই অভিজ্ঞতার নিরিখেই পাঠক ধরে নিতে পারেন শেরে ই বাঙ্গাল থেকে সোহরাওয়ার্দিকে ,’ সুরাবর্দি’ উচ্চারণের ভিতর দিয়ে হিন্দু বাঙালির একটা বড়ো অংশের আবিমৃষ্যকারিতার বিপদজনক দিকটির স্বরূপকে।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস কে খন্ডিত, বিকৃত করে উপস্থাপিত করবার দায় কি কেবলমাত্র রাজনৈতিক হিন্দুদের? প্রগতিশীল বলে দাবি করা যে সমস্ত মানুষজন দেশভাগের পর থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে পর্যায়ক্রমে পাঠক্রম তৈরির দায়িত্ব পালন করেছেন, সেইসব মানুষেরা নিরপেক্ষ প্রেক্ষিতে বঙ্গভঙ্গের যাবতীয় পর্যায়ক্রমকে কখনো পাঠ্যতালিকাতে রেখেছেন? সামন্ততন্ত্রের করালগ্রাসে পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে বাংলার মুসলমানদের ভিতরে আর্থ-সামাজিক- সাংস্কৃতিক- রাজনৈতিক দুরবস্থা পর্যায়ক্রমে নেমে এসেছিল, তার কোনো সম্যক চর্চা আমাদের রাজ্যে স্কুল স্তর থেকে স্নাতকোত্তর – কোনো পর্যায়ে আজ পর্যন্ত স্বাধীনতার পর হয়েছে? মুসলমান সমাজের সার্বিক সঙ্কটকে পুঁজি হিশেবে ব্যবহার করে কিভাবে ব্রিটিশ তার ভাজক প্রক্রিয়াকে আস্তে আস্তে বাংলার বুকে কায়েম করেছে, তা নিয়ে ছাত্র সমাজকে সম্যক অবহিত করবার দায়িত্ব কি বিভিন্ন স্তরের সিলেবাস প্রস্তুতকারকদের ছিল না? জাতীয় আন্দোলনকে মূলত হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন হিশেবে দেখাবার যে প্রবণতা রমেশচন্দ্র মজুমদারেরা দেখিয়েছিলেন, সেই প্রবণতা থেকে কি কংগ্রেস বা বাম বা তৃণমূলের আমলের সিলেমাস প্রস্তুতকারকেরা মুক্ত?

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ময়মনসিংহের টাঙ্গাইলের দেলদোয়ারের জমিদার গজনভীদের দুই ভাইয়ের ভিতরে যে প্রভেদ, মূলত শ্রেণীস্বার্থের তাগিদ সামন্ততন্ত্রের ভিতরে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে তা নজরুলের ‘গণবাণী’ তে দেগিয়েছিলেন মুজফফর আহমদ। ইতিহাসচর্চার শ্রেণী চিন্তা প্রসূত , ধর্মনিরপেক্ষ যে বোধ মুজফফর আহমদ স্থাপন করেছিলেন, দীর্ঘকালের বামপন্থী শাসনকালে সিলেবাসকর্তারা তা কেন একটিবারের জন্যে ও অনুসরণ করলেন না? ঢাকার নবাব সালিমুল্লাহ কে ‘ মুসলিম লীগে’ র প্রতিষ্ঠাতা হিশেবে দেখিয়ে , গোটা মুসলমান সমাজকেই কার্যত বিচ্ছিন্নতার রাজনীতির সমার্থক হিশেবে দেখাতে বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসবিদেরাও যেমন সচেষ্ট ছিলেন, তেমনি ই চেষ্টার ত্রুটি করেন নি সিলেবাসকর্তারা।অথচ সালিমুল্লাহ কিভাবে ঢাকার ঢাকার নবাব বাড়ির তাঁর অংশের বৈভব বজায় রাখতে ব্রিটিশের কাছে আকন্ঠ ঋণে নিমজ্জিত হচ্ছেন, আর তার সুযোগ ব্রিটিশ নিচ্ছে– এসব কথা লেখার প্রয়োজন ই ভারতীয় ইতিহাসের স্কুল- কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের সিলেবাস নির্মাতারা অনুভব করেন নি।

সালিমুল্লাহ আর তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই আতিকুল্লাহ- দুটি চরিত্রের ভিতর সামন্ততান্ত্রিক স্বার্থের নিরিখে শ্রেণীস্বার্থ বজায় রাখবার রকমফের– আমরা কি আমাদের ছাত্রদের জানিয়েছি? আর এই না জানানোর পাপে শিক্ষিত মানুষের ভিতরে যে সাম্প্রদায়িকতা, বিচ্ছিন্ধতার মানসিকতা তৈরি হয়েছে, তার দায় আমরা নেব না কেন? বঙ্গভঙ্গের আলোচনায় কি একটি বারের জন্যে ও উঠে এসেছে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দরুণ বাংলার ভূমি ব্যবস্থার পরিবর্তন বাংলার কৃষক, যাঁদের বেশির ভাগ ই ছিলেন মুসলমান আর দলিত হিন্দু, তাঁদের কি অবস্থা হল, সেই বিষয়টি? বঙ্গভঙ্গ বলবৎ থাকলে, মুসলমানের আর্থ- সামাজিক – সাংস্কৃতিক বিকাশ একটি ভালো জায়গাতে পৌঁছাতে পারত কি? আর তেমন টা হলে, জিন্নার মতো আদতে সাহেব মানুষের পক্ষে বাংলার মুসলমানদের ভিতরে বিচ্ছিন্নতার হলাহল কি এতোখানি নিবিড় করে লেপে দেওয়া সম্ভব হতো? – এসব ভাবনা উসকে দেওয়ার মতো কোনো সঙ্কেত কি আজকের ছাত্র সমাজ , আমাদের ইতিহাস পাঠক্রমের ভিতরে পায়?

১৯২৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের উদ্যোগে তৈরি বেঙ্গল প্যাক্ট আমাদের আলোচনা তে আসে।অথচ সিরাজগঞ্জ সন্মেলনী থেকে শুরু করে গোটা প্যাক্ট টি সংগঠিত করতে মৌলানা আকরম খাঁয়ের যে ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং অবদান- তা নিয়ে কিন্তু আমাদের পাঠ্য ইতিহাসগ্রন্থগুলি আশ্চর্যরকমের নিশ্চুপ।দেশবন্ধুর সপ্রশংস, শ্রদ্ধাপূর্ণ উল্লেখের সঙ্গে একটি বার ও কি উচ্চারিত হয়, পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জে ১৯২৪ সালের ১ লা জুন মওলানা আকরাম খাঁ বলেছিলেন;” তুমি মুসলমান , কোন ও হিন্দু তোমার মসজিদের সন্মুখে ঢাক- ঢোল বাজাইলে তোমার শিরায় শিরায় উত্তেজনার যে তড়িত তরঙ্গ জাগিয়া উঠে , ইংরাজের মিছিলের সময়তো তাহার বিন্দু বিসর্গের ও সন্ধান পাওয়া যায় না … আর হে ধর্মাভিমানী হিন্দু।তোমাকে জিজ্ঞাসা করি, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মুছলমান তোমার শাস্ত্রের আদেশ মান্য করিতেছে না বলিয়া তুমি তাহার মুন্ডপাতের ব্যবস্থা করিতেছ।কিন্তু তুমি তোমার নিজের শাস্ত্রের সব হুকুম মান্য করিয়া আসিতেছ কি?” ১৯১৪ থেকে ‘৩৬ গোটা বাংলার বুকে আকরাম খাঁয়ের নেতৃত্বে যে প্রজা আন্দোলন , ফজলোল হকের নেতৃত্বে কৃষকের স্বার্থবাহী আন্দোলন- এগুলি কি তেভাগা এবং পরবর্তীকালে বামপন্থীদের নেতৃত্বধীন কৃষক আন্দোলনের পথ কে অনেক সুগম করে নি? অথচ এইসব আন্দোলন গুলি ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে পাঠ্য ইতিহাস বইগুলিতে একটি ও শব্দ নেই।এই ইচ্ছাকৃত ভুলে থাকা কি প্রকারান্তে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িকদের পালে বাতাস জোগায় নি?


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।