রাজ্য

অনশনরত পার্শ্বশিক্ষকদের একজন- রেবতী রাউত আজ মারা গেলেন।


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:২১শে নভেম্বর:–অনশন আন্দোলনরত একজন পার্শ্বশিক্ষকের অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হ’ল। মৃত শিক্ষিকার নাম রেবতী রাউত। তিনি পশ্চিম মেদিনিপুরের মোহনপুর ব্লকের দক্ষিণ বোড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। অনশনে সামিল হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর লড়াইয়ে ফিরে আসার অঙ্গীকার করে বাড়িতে যান। কিন্তু ফেরা তাঁর হ’লনা।

প্রসঙ্গত :পার্শ্বশিক্ষক আন্দোলনের দাবি সনদের মধ্যে যেমন রয়েছে বেতন কাঠামোর পুনর্গঠন তেমনই রয়েছে পার্শ্বশিক্ষিকাদের মাতৃকালীন ছুটির বিষয়টি। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, স্কুলের পরিচালন কমিটিতেও তাঁদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। উস্থির আন্দোলনের সময়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “অন্যায্য দাবি সরকারের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। কিন্তু পার্শ্বশিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন তৎকালীন বিরোধীনেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিকে হাতিয়ার করেই।

পশ্চিমবঙ্গে ৪৮০০০ প্যারাটিচার আছেন।তারমধ্যে ১৫০০০জন বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ, আন্দোলনে সামিল। তার মধ্যে ৪০জন অনশনে বসেছেন, যা আজ সপ্তম দিনে পড়ল। এর মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনশনরত পার্শ্বশিক্ষকদের কথা না শুনে, তাদের কথা না ভেবে, প্রতিবারের ন্যায় ‘আহারে বাংলা’ উৎসবে ব্যস্ত। আজ একজন মারা গেলেন। আগামীকাল আর কেউ যেন না হয়। এ দায় কার??সরকারের কোনো হুঁশ নেই। রেবতী রাউতের মৃত্যু মানুষের মনে আর‌ও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করবে। সর্বস্তরের বিদ্রোহ একাত্ম হোক, -মানুষের দাবী।প্যারাটিচার আন্দোলনের এক অপূরণীয় ক্ষতি তাদের লড়াইয়ের সাথী রেবতী রাউতকে হারানো।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।