দেশ বিদেশ

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় ও এস্থার ডুফলোর কোভিড- ১৯ সচেতনতার পরামর্শ


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৪ঠা এপ্রিল:– কোভিড ১৯ এর মোকাবিলায় জনসাধারনের মধ‍্যে সচেতনতার প্রসার ও বৃদ্ধি ছাড়াও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও সুদৃঢ় ও ফলদায়ী ভাবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ও এস্থার ডুফলো। ইতিমধ্যেই তাঁরা কর্ণাটকে একটা চটজলদি সমীক্ষাও করেছেন।

সম্প্রতি কোভিড১৯ এর জেরে ২১দিনের লকডাউনের ফলে এই সংক্রমণকে সাময়িক ভাবে রোধ করা গেলেও এর বিস্তারকে পুরোপুরি রাশ টানা অত‍্যন্ত কঠিন। সংক্রামিত ব‍্যক্তিকে চিহ্নিত করার আগেই সেই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষতঃ ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে সংক্রমনের সম্ভবনা আরও বেশী। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ জানেন না তাদের কি করা উচিত ও উচিত নয়।

এই সংক্রমণ আটকানোর  কয়েকটি মূল‍্যবান পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা দিয়েছেন।
প্রথমত, এই রোগ সংক্রমনের প্রচার বা সচেতনতার পাঠ এমন ভাবে চালাতে হবে যাতে পরিবারের অন্তত একজন ব‍্যাক্তির এই রোগটি সম্বন্ধে সম‍্যক ধারণা থাকে।
দ্বিতীয়ত, সংক্রমণ হতেই পারে… এটা ধরে নিয়ে সংক্রামিত ব‍্যাক্তি যাতে সামাজিক বর্জনের শিকার না হন এবং এই কারণে কোনোভাবেই রোগ লুকিয়ে রাখার প্রবণতা না বাড়ে সেদিকে লক্ষ‍্য রাখতে হবে।
তৃতীয়ত,  সরকারের উচিত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ‍্যমে এই ভাইরাস আক্রান্তদের বিষয়টি গোচরে আনা ও তাদের নজরে রাখা।
চতুর্থত, গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব‍্যবস্থা করা যাতে তারা সংশ্লিষ্ট মহলে এ বিষয়ে দ্রুত খবর পৌছে দিতে পারে।
পঞ্চমত, করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট যাতে অতি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে করা যায় তা নজরে রাখা, যা দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তদের পরিসংখ্যান তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।
ষষ্ঠত, চিকিৎসক ,নার্স ও স্বাস্থকর্মীদের নিয়ে একটা ভ্রাম‍্যমান টিম গঠন যাতে থাকবে সংক্রামিত ব‍্যাক্তির দ্রুত পরীক্ষা করার সরঞ্জাম ও সেই সংক্রান্ত কিট।
সপ্তমত, এই টিম যাতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থকেন্দ্র ব‍্যাবহারের ও অন‍্যান‍্য সরঞ্জাম ব‍্যাবহারের সুযোগ পায়, সেরকম পরিকাঠামো তৈরী করা।
অষ্টমত, সরকারের সামাজিক যেসব সুরক্ষা প্রকল্প রয়েছে তার সম্পূর্ণ সুযোগ যাতে অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণীরা পায় তা নিশ্চিত করা ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময়ে তা কাজে লাগানো।

সর্বোপরি কোভিড ১৯এর ফলদায়ী ভ‍্যাকসিন যতোদিন না তৈরী হচ্ছে এই জরুরি অবস্থাকালীন তৎপরতা চালু রাখতে হবে এবং এই প্রতিষেধক আবিষ্কারের পরও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।