দেশ

মধ্যপ্রদেশ সীমান্তে আটকে থাকা অভিবাসী শ্রমিকদের বিক্ষোভ খাবারের দাবিতে।


কল্পনা গুপ্ত : চিন্তন নিউজ: ১৬ই মে:- – করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৪শে মার্চ মাত্র ৪ঘন্টার নোটিশে লকডাউন শুরু হওয়ায় আচমকাই স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ। এর ফলে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন বহু অভিবাসী শ্রমিক। দৈনিক রোজগারই তাদের দিনের খাবার জোগান দেয়।

উত্তরপ্রদেশ, বিহারে যে সমস্ত অভিবাসী শ্রমিকরা মহারাষ্ট্রে কাজ করেন, তাদের বাড়ি ফিরতে হলে মধ্যপ্রদেশ বারওয়ানি জেলার সেন্ধওয়া হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এখান থেকে বাস বা ট্রাকে করে নিজেদের রাজ্যে ফেরেন শ্রমিকরা। সিন্ধাওয়ার বিজাসন ঘাটে রোজ গড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার শ্রমিক পৌঁছান বাড়ি ফেরার জন্য। মধ্যপ্রদেশ সরকার তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেনি, এমনকি তাদের বাড়ি ফেরার জন্য কোন পরিবহনেরও ব্যবস্থা করেনি। এই অভিযোগে মধ্যপ্রদেশ – মহারাষ্ট্র সীমান্ত সেন্ধোয়া শহরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার অভিবাসী শ্রমিক। ফলে ৩ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

অভিবাসী শ্রমিকদের একজন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ এখানে অনেকেই কয়েক মাসের শিশুকে নিয়ে যাতায়াত করছেন, মহারাষ্ট্র সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ সরকার আমাদের কিছু সাহায্য করছে না। গত রাত্রি থেকে ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় আছি এখানে আমরা। আমাদের কথা কেউ ভাবছে না।’

এই রকম অবরোধের ঘটনা ৩রা মে তেও ঘটেছে। বারওয়ানিতে কয়েক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ দেখিয়ে আগ্রা-মুম্বাই জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন।

অবরোধ প্রসঙ্গে জেলা কালেক্টর অমিত তোমর জানান- ‘ওনারা যখন এসে পৌঁছেছেন তখন আগের সিব যাওবাহন ছেড়ে গিয়েছে। কিছু অভিবাসী শ্রমিক ভেবেছিলেন বাড়ি ফেরার জন্য আর হয়ত কোন গাড়ি পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা তাদের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেছি।’ তিনি আরো জানান, ১৩৫ টি বাসে করে শ্রমিকদের এই সীমান্ত থেকে বিভিন্ন জেলার ট্রানজিট পয়েন্টে পাঠানো হয়েছে।

অভিবাসী শ্রমিকদের দূরবর্তী ভিনরাজ্যগুলি থেকে নিজ রাজ্যে ফেরার এই বিরাট পথ অতিক্রমের যে ক্লান্তিকর পদ্ধতি ও খাদ্য, বিশ্রামের অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাতে তাদের স্বাভাবিক ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি এদের যথাযথ খাদ্য, পরিবহন ও সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। যাদের শ্রম ও ঘামে দেশের চাকা ঘোরে তাদের যথার্থ মর্যাদা দেওয়া হোক।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।