সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ২৬ সেপ্টেম্বর: যাদের উচ্চরক্তচাপ আছে বহুদিন ধরে তাদের মধ্যবয়সে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন ডাক্তারবাবুরা। গবেষকদের মতে এই উচ্চরক্তচাপ যেমন মৃত্যুর কারন হতে পারে তেমন অপরদিকে তা স্মৃতিভ্রংশ ঘটাতে পারে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা ভাসকুলার নিউরোলজিস্ট শ্যাম প্রভাকরনের মতে হাইপারটেনশনে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এর সাথে বেড়ে চলেছে স্মৃতিভ্রংশ মানুষের সংখ্যা।
এ নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে দেখা গেছে ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী যারা দীর্ঘদিন ধরে হাইপারটেনশনে ভুগছেন তাদের মধ্যে স্মৃতিভ্রংশের হওয়ার প্রবনতা বেশী। এই গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জন হপকিনস ইউনিভারসিটি স্কুল অব মেডিসিন -এর নিউরোলজিস্ট কিনান ওয়াকার জানিয়েছেন মধ্যবয়সী মানে ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ৪ জন প্রতি বছর এই স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তা প্রতিবছর বেড়ে চলেছে। যারা ওই বয়সী অথচ হাইপারটেনশন নেই তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা নগন্যই বলা চলে।
শুধু উচ্চরক্তচাপই নয়, মধ্যবয়সীরা লো ব্লাড প্রেশারে ভুগলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং তা অনেক বেশী বলে গবেষনায় দেখা গেছে। সম্প্রতি আমেরিকায় হাই ব্লাড প্রেশার রয়েছে এমন প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ৭ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে বেড়ে ১১ কোটি ৬০ লক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মানুষদের যেমন হৃদরোগে ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে তেমন ৬ মিলিয়ন মানুষ স্মৃতিভ্রংশ রোগে ভুগছেন। ১৯৮৭ সালে গবেষকরা এই গবেষণা শুরু করেন। ৪ হাজার ৭৬১ জন জনের মধ্যে ২৪ বছর ধরে নিউরোলজি ও সাইকোলজি টেস্ট চালানোর পর এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, মস্তিষ্কে যখন কোন শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন শরীরের অঙ্গ ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। কারন অক্সিজেন শিরাতে ভালোভাবে পৌছাতে পারে না। আবার ব্লাডপ্রেশার লো মানে খুব কম হলেও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে। তবে গবেষকরা এও জানিয়েছেন যে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে, সঠিক জীবনযাপন করলে মধ্যবয়সে এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।