রাজ্য

হুগলির পুরশুড়ায় কৃষিজমিকে মাঠ বানিয়ে – মুখ্যমন্ত্রী র সভার আয়োজন- বিতর্কে তৃণমূল।


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ২৫ জানুয়ারি – নিকটবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী আজ সভাস্থল রূপে বেছে নিলেন হুগলির পুরশুড়ার সেকেন্দরপুর গ্রামের ফলনশীল ক্ষেতের জমিকে। একদিনের কিছু সময়ের জন্য একটি সভা’র জন্য হেলিপ্যাড ও সভাস্থল বানানোর খেশারত দিতে হলো সেখানকার কৃষকদের। সেকেন্দরপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া প্রায় ৩০ বিঘা চাষ জমির মধ্যে এই আয়োজন হয়েছে সামান্য অর্থের বিনিময়ে।

বোরো চাষি বিশ্বনাথ খোটেল জানান, ” আমার বীজতলার ওপর হেলিপ্যাড হয়েছে। ৫৩ শতক বীজতলার জন্য নেতারা মাত্র দু’হাজার দিয়েছেন। ওই বীজতলা থেকে দেড় বিঘা জমিতে বোরো চাষ করি, বিঘা পিছু ধান ফলে ১২ ক্যুইন্টাল করে। এক ক্যুইন্টাল ধান বিক্রি করে পাই ১৪০০ টাকা। ওই আয়টাও হবে না, জমিটারও দফারফা হলো। ” আলু চাষি বিপ্লব সামন্তের ক্ষোভ, ” আমার প্রায় দেড় বিঘে জমির আলু অসময়ে তুলতে হল। ওই জমি থেকে ১৫০ বস্তা আলু মিলতো।”

সিপিআইএমের পুরশুড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক ফারুক আহমেদ লস্কর বলেন, ” তৃণমূল নিজেদের কৃষক দরদী বলে জাহির করে। এখানে কয়েকজনকে সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে জোর করে জমি নেওয়া হয়েছে।”

কৃষক দরদী সেজে সিঙ্গুরে আন্দোলন করে যারা শিল্প ও কৃষির অবনতি ঘটিয়েছে ও রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থাকে পঙ্গু করেছে, তাদের এই কাজ তাদের স্লোগান আন্দোলনের সাথে মেলে না। মুখ্যমন্ত্রী আবার কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদ করেছেন। একই সাথে নিজের রাজ্যে কৃষকদের ফসল নষ্ট করে মাঠ বানিয়ে কয়েক ঘন্টার সভা করছেন। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের কথায়, ” চাষিরা নিজেরাই জমি ছেড়ে দিয়ে সভা করতে বলেছেন। ” তার নিজের কথা কৃষকদের মুখে বসিয়ে দিলেও, কৃষকরা তাদের নিজেদের ক্ষতির কথা নিজেরাই বলেছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।