রাজ্য

অক্সিজেন এর অভাব প্রকট হাসপাতালগুলিতে,


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৩রা অক্টোবর:- সমসময় যে কোন বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তখনই বলেন রাজ্যের পরিকাঠামোর অস্বাভাবিক উন্নতি হয়েছে। রাজ্যে হাসপাতাল গুলোর উন্নতি হয়েছে চরমতম। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে করোনা অতিমারী অবস্থায় হাসপাতাল গুলোর তেমন কোন উন্নতি তো হয়নি বরং অবনতি হয়েছে।২০২০ সালে মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ থাবা বসিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর সেপ্টেম্বর মাসে করোনা সংক্রমণ শীর্ষ স্থানে পৌঁছেছে। শুধু সেপ্টেম্বরই ২৬ লক্ষ মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কিছু রোগীকে সাধারণ ওষুধ ও কোয়ারেন্টাইন করেই চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে।

কিন্তু যারা মারাত্মক ভাবে সংক্রামিত হয়েছে তাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়েছে।এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।মার্চ মাস থেকে অক্সিজেন এর চাহিদা বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আর এই জীবনদায়ী গ্যাসের অভাবে হাঁপিয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষিত সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল গুলো। সাধারণভাবে উৎপাদন ঘর থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার রোগীর কাছে পৌঁছাতে সময় সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ দিন। ডিলার রাও অনেক সময় দেরী করে।অক্সিজেন সিলিন্ডার এ পৌঁছানোর সময় কোন ভুল ত্রুটিধরা পড়লে সেক্ষেত্রে অনেক টা সময় নষ্ট হয়ে যায়। ভারতের যা পরিকাঠামো তাতে ৬ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন তৈরী করা সম্ভব। এর মধ্যে ২৫০০ টন অক্সিজেন যায় হাসপাতাল গুলো তে আর ২৩০০ মেট্রিক টন লিক্যুইড অক্সিজেন যায় ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে।। আর প্রশ্নটা এখানেই।

গত ছ’ মাসে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে। এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে ট্রান্সপোর্ট এর ক্ষেত্রে। অক্সিজেন বহনকারী যে ট্যাঙ্কার আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এরপর যে সমস্যা তা হলো স্টোরেজ এর। বেশীরভাগ হসপিটালের অক্সিজেন সিলিন্ডার স্টোরেজ এর জায়গা নেই।একজন করোনা আক্রান্ত মানুষের ৩০ থেকে ৬০ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন। একটা সিলিন্ডারে ১ ঘন্টা চলে। যখন চাহিদা বাড়ে তখন স্বাভাবিক ভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম ও বাড়িয়ে দেয়।। আগে যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ১০০/- থেকে ১৫০/- তে পাওয়া যেত এখন এই অতিমারীর সময় এক একটি সিলিন্ডারের দাম ৬০০/৭০০ টাকা হয়েছে।। আরও একটা সমস্যা জনগণ মধ্যে কাজ করছে।। পরিবার এর কেউ আক্রান্ত হলে যদি হসপিটালে বেড না পাওয়া যায় সেই ভয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার স্টোর করে রাখছে বাড়ীতে। বেসরকারি নার্সিংহোম গুলোতে এক একেকটা সিলিন্ডারের দাম ১৫০০/- থেকে ৩০০০/- অবধি দিতে হচ্ছে।।

আই এ এস অফিসার ডাঃ সুধাকর সিন্ডে বলেছেন যে তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার এর দাম ৪০০ টাকার বেশী কিছুতেই হ’তে পারে না। এখন প্রশ্ন সরকার তবে এই অবস্থাতে কি করছে? তাঁরা এখন অক্সিজেন নষ্ট না হয় এতদিনে সেদিকে নজর দিয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।