জেলা রাজ্য

বন্ধ চা বাগানের অসুস্থ শ্রমিকদের পাশে বাম গণসংগঠনগুলি


fসঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ:২৩ জুনঃ- ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাট থানার বন্ধ চা বাগান রেড ব্যাঙ্ক একসময় প্রতিদিন সংবাদের শিরোনামে ছিল। মৃত্যু উপত্যকা হিসেবে চিহ্নিত হয় ডুয়ার্সের রেড ব্যাঙ্কগ্রুপের তিন বন্ধ চা বাগান রেড ব্যাঙ্ক সুরেন্দ্র নগর ধরনী পুর।কেন্দ্র রাজ্যের ডজন খানেক মন্ত্রী এই বন্ধ বাগানে বারকয়েক এলেও তালা খোলেনি।যিনি আজ দেশের অর্থমন্ত্রী তিনিও এসে অনেক গাল ভরা কথা শুনিয়ে গেছেন। এই সব বন্ধ বাগানে মৃত্যু মিছিল থামাতে পারেনি কেউ।

করোনা ভাইরাসের থাবার ভয়ে দেশ জুড়ে অনেক কিছুই হচ্ছে। এই করোনা ঝরের প্রতিদিনের খবরের জেরে চাপা পড়ে গেছে বন্ধ চা বাগানের অসহায় অসুস্থ মানুষের কথা। এ রাজ্যে তৃনমুল সরকার আসার কয়েক মাসের মধ্যে এই তিন বাগান তালা দিয়ে মালিক সরে পড়ে। করোনা থাবার ভয়ে এই সব বাগানের বেরোজগার শ্রমিকরাও দিশেহারা। বিশেষ করে যাদের ঘরে অসুস্থ মানুষ রয়েছে।

এই সব অসহায় মানুষের কথা সরকার ভুলে যেতে পারে কিন্তু ভোলেনি লাল ঝান্ডার মানুষেরা। সি আই টি ইউ ভুক্ত নির্মান শ্রমিকৎইউনিয়নের বানারহাট ইউনিট গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৩০ জন অসুস্থ মানুষের সারা মাসের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সব প্রচারের আড়ালে। এই মহৎ কর্মসুচির কথা জানা গেল মঙ্গল বার দুপুরে। যখন রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা মিখিল ওরাও এবং যুব কর্মি রাম ওরাও বানার হাটে এলেন সেই অসুস্থ তিরিশ জন শ্রমিকের এ মাসের খাদ্য সামগ্রী নিতে।নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক তৃষ্ণা বড়ুয়া এবং কার্যকরী সভাপতি গঙ্গা মায়া গুরুঙ সে সময়ে এই চিত্র তুলে ধরে বলেন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমরা রেড ব্যাঙ্ক চাবাগানের ৩০ জন অসুস্থ অসহায় শ্রমিকের খোঁজ নিয়ে তাদের মাসের খাদ্য দ্রব্য হিসেবে চাল আটা তেল বিস্কুট সহ আরও কিছু সামগ্রী আমরা দিয়ে আসছি।আজ অবধি কোনো,মাসে এর ব্যাতিক্রম হয়নি হতেও দেবনা।

সরকার প্রশাসন উদাসীন থাকতে পারে আমরা মানুষের জন্য লড়াই করি মানুষ কে বাঁচাবার জন্য।তাই এই কর্মসূচি চালু থাকবে।এই নেতৃত্বরা বলেন সরকার তার তথ্য দেখিয়ে হয়ত বলবে বা বলে বন্ধ বাগানে কেউ,মারা যায়নি অনাহারে শ্রমিকরা নাকি প্রচুর কাজ পাচ্ছে অভাব নেই এসব।বাস্তব অন্য ছবি দেখায় তাই আমরা প্রচারের আড়ালেথেকেই নীরবে এই কাজ করে,যেতে,চাই।তৃষ্ণা বড়ুয়া গঙ্গা মায়া গুরুঙ এই সাথে বলেন তোতা পাড়া চা বাগানে সরকারি ভাবে হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। গত এক মাস ধরে প্রতিদিন সকালের জল খাবার দেবার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নির্মান শ্রমিকইউনিয়ন। এদিন এই নেতৃত্বদের সাথেই থ্রল পাড়া চা,বাগানের শ্রমিক নেতা বিকাশ ওরাও প্রষেন দাস প্রমুখ কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সকালের খাবার বিলি করেন। ছবি ক্যাপশন রেড ব্যাঙ্কচাবাগানের অসুস্থদের খাবার বিলি করা হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যেও ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।