জেলা

কলকাতার টুকিটাকি


     

গৌতম প্রামানিক: চিন্তন নিউজ:৫ই জুলাই:- সমগ্ৰ বিশ্বব্যাপী নীপিড়িত, শোষিত, অত্যাচারিত মানুষের পাশে বামপন্থা বা মার্ক্সীয় মতাদর্শ ছিল, আছে এবং থাকবে। লক্ষণীয় যে কমিউনিস্ট ইস্তেহার মহামতি কমরেড মার্ক্স ১৫০ বছর আগে ইস্তেহারে যা লিখেছেন আজও তা বাস্তব তা সত্যি এবং বিজ্ঞান।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই দেশও তার বাইরে নয়।
দেশের উগ্ৰ গৈরিক সাম্প্রদায়িক সরকার তার ফ্যাসিস্ট রুপ সবসময়ই গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের উপর দমনপীড়ন, আদিবাসী দলিত সমাজের উপর শোষণ, অত্যাচার বারেবারে নামিয়ে এনেছে, অত্যাচার এমন যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো নৃশংস ঘটনাও মানুষ চাক্ষুষ করেছেন।
সবসময়ই দেখা গেছে লাল ঝান্ডা ঐ নীপিড়িত অত্যাচারিত মানুষের সমাজের পাশে! সেকারণেই দেশের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্য বামপন্থাকে কিভাবে ধংস করা যায়। কিন্তু, এটাও সত্য বিশ্বে যতোদিন শোষণ, অত্যাচার থাকবে বামপন্থা থাকবে।
বামপন্থার জন্যই সমাজ, সংস্কৃতি জীবিত।
তাই গতবছর যখন ঝাড়খন্ডে গ্রামে আদিবাসীদের গরিব মেলা বসেছিল, তখন কিছু গৈরিক সাম্প্রদায়িক বাহিনী চরমতম অমানবিক রুপ নিয়ে সেই আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক মেলাকে চুরমার ধংসস্তুপে পরিনত করে, তখন স্ট্যান স্বামী সেই নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। আশি উর্ধ্ব স্ট্যান স্বামীকে ঝাড়খন্ডে বিজেপি প্রশাসন গ্ৰেপ্তার করে, সাথে সাথে এরাজ্যের আদালত আরও একবার বুর্জোয়া রুপ আইন ব্যবস্থার সামনে হাজির করে অমানবিক রায় দানের মধ্য দিয়ে নিরিহ সত্ব আদিবাসীদের অভিবাবক স্ট্যান স্বামীকে জেলে দেয় এবং জেলের মধ্যে অপরিসীম দমনপীড়ন তাকেও মান্যতা দিয়ে আইনের করুন রুপ তুলে ধরে। অসুস্থ স্ট্যান স্বামীকে ওষুধ, খাদ্য না দিয়ে তিল তিল করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। অবশেষে শ্রদ্ধেয় স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু হয় ৫ই জুলাই ২০২১ এ আজকের দিনে।
এই নিষ্ঠুর ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ পার্কসার্কাস ময়দান থেকে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ পর্যন্ত কলকাতা নাগরিক সম্মেলন ও সামাজিক ন্যায় মঞ্চ কলকাতা জেলা কমিটির উদ্দোগে মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল হয়।

অপরদিকে আজ রাসমণী রোডে রাজ্য বিড়ি শ্রমিকদের যৌথ সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে ডেপুটেশন ও শ্রমিকসমাবেশ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।