চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২রা ডিসেম্বর:-শূন্যপদ পূরনের দাবিতে আন্দোলনে সোচ্চার কেএমসি ইঞ্জিনিয়াররা।
দিনের পর দিন বেড়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের কাজের পরিধি বাড়ছে,একের পর এক দপ্তর যুক্ত করা হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের সঙ্গে ,কিন্তু নিয়োগ হয়নি কর্মী। প্রতি বছর ফাঁকা হচ্ছে কর্পোরেশনের বিভিন্ন পদ। সেইসব শূন্য পদে নিয়োগ আর হচ্ছে না।ফলত চাপ বাড়ছে এখনো কর্মরত কর্মচারীদের উপর। একদিকে কাজের পরিসর বৃদ্ধি, অন্যদিকে নিয়োগ বন্ধের কারনে এই চাপ এখন বোঝার মতো চেপে বসেছে কেএমসি ইঞ্জিনিয়ারদের ঘাড়ে। এর প্রতিবাদে শূন্যপদ পূরনের দাবীতে সোচ্চার হয়ে মিছিল করে আন্দোলনের ডাক দিলেন কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড এ্যালয়েড সার্ভিসেস আ্যাসোসিয়েশন। শূন্যপদ পূরন ছাড়াও তাদের দাবী ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের আওতায় আনার দাবী। গত শুক্রবার টিফিন টাইমে এই মিছিল হয় কলকাতা কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় পৌরভবনে।
একদিকে কাজের পরিধি বৃদ্ধি অন্যদিকে দীর্ঘ ন’ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বন্ধ। পরের পর অবসর নেবার ফলে এখন কর্মরতদের থেকে শূন্যপদের সংখ্যা বেশী হয়ে গেছে।মাঝে নামমাত্র কিছু নিয়োগ হলেও তা সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানের পক্ষে একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। কাজের চাপ এতো বেশী যে প্রায়ই তা আট ঘন্টা পেরিয়ে নয় -দশ ঘন্টায় পৌছে যায়। অন্যদিকে কাজের ক্ষেত্রে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি হলে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে মাত্র কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার কে। এই পরিস্থিতির অবসান চেয়ে তাদের বিক্ষোভ মিছিল পরিক্রমা করে কেন্দ্রীয় পৌরভবনের বিভিন্ন বিভাগে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি পার্থ গুপ্ত এবং সম্পাদক মানস সিনহা।
কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড এ্যালয়েড সার্ভিসেস আ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ গুপ্ত বলেন যে কাজের চাপ বাড়া,নিয়োগ বন্ধ,ফলে সঠিক পরিষেবা দিতে হলে নতুন নিয়োগ ছাড়া আর পথ নেই। তাঁরা বলেন কেএমসিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিনান্স রুল লাগু হলেও কেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ইঞ্জিনিয়াররা? বিভিন্ন ছুটি এবং ওভার টাইমে কাজ করানো হলেও আর্থিক সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। যেখানে কর্মরতদের গড় বয়স ৫০,সেখানে অবসরপ্রাপ্ত দের পুনর্নিয়েগ করা হচ্ছে। এর ফলে তাদের দায়বদ্ধতার অভাবে আর্থিক দূর্নীতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।এই পূনর্নিয়োগ অবলম্বে বন্ধ করে নতুন নিয়োগ করতে হবে,পদোন্নতি এবং ভ্রমনের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে ,যেমন সুবিধা পান অন্যান্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।