দেশ

চার সতর্কতায় বাজিমাত, হিট কেরালার মন্ত্রী ::——-


রত্না দাস: চিন্তন নিউজ:১৮ই মে:- দিনটা ২০শে জানুয়ারি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অনলাইনে খবরটি তার প্রথম নজরে আসে। শুনেই তিনি তড়িঘড়ি এক ডেপুটিকে ফোন করেন। তার মূল একটাই প্রশ্ন এই ভাইরাস কি আমাদের এখানেও ছড়াতে পারে? ওদিক থেকে জবাব, ‘ অবশ্যই পারে ম্যাডাম’। উত্তর শুনে আর দেরি করেননি ম্যাডাম। তার ফল? সাড়ে তিন কোটির রাজ্য কেরালায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৬এ আটকে রাখা গিয়েছে আর মৃতের সংখ্যা 8 জন।

এই ম্যাডাম হলেন ৬৩ বছরের কে কে শৈলজা। এই শৈলজা ম্যাডামকে ‘শৈলজা টিচার’ বলেই জানেন কেরালাবাসী। সেকেন্ডারী স্কুলের প্রাক্তন বিজ্ঞান শিক্ষিকা। তিনি যেভাবে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে করোনা পরিস্থিতি সামলেছেন তাতে দেশ-বিদেশের বহু মানুষই মুগ্ধ।

ডেপুটির সঙ্গে কথা বলার পর তিনদিনের মধ্যে ‘র‍্যাপিড রেসপন্স’ টিমকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।২৪শে জানুয়ারি তৈরি হয় কন্ট্রোলরুম । কেরালার ১৪ টি জেলার মেডিকেল অফিসারদের জেলাস্তরে পদক্ষেপ করতে বলা হয় ফল। ২৭ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে।কিন্তু তার আগেই ‘হু’ প্রোটোকল মাফিক টেস্ট, ট্রেস, আইসলেট ও সাপোর্ট এর প্রস্তুতি সেরে ফেলে রাজ্য।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে যে রাজ্যে দেশের শিক্ষিতের হার সর্বোচ্চ সেই কেরালা আগে থেকেই স্বাস্থ্যের নানা সূচকেও এগিয়ে।সেখানকার বাসিন্দারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন। সেই প্রসঙ্গেই শৈলজার প্রশ্ন যেখানে তার রাজ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফল পাওয়া যায় সেখানে ব্রিটেন আমেরিকার মত দেশে কেন ৭দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তার কথায়,’পরীক্ষা খুব জরুরী। সঙ্গে নজরদারি ও কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাও।’

:: –


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।