সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৩০/০৫/২০২৩:– বীরভূম জেলার বাহিরী গ্রামের বাসিন্দা কাশীনাথ দে ও রীতা দে’-র সন্তান কৌশিক দে। বোলপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের সদ্য স্নাতক কৌশিক পড়াশোনা র পাশাপাশি অঙ্কন শিল্পেও খুব ভালো । সে আপামর ভারতবাসী কে তাক লাগিয়ে এঁকেছে এক ত্রিশ ফুটের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রতিচ্ছবি । তার এই শিল্পকর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছে ” ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস”।
গ্রামের ই আঁকার শিক্ষক প্রনব অধিকারীর কাছে কৌশিক এর অঙ্কন শিক্ষা শুরু মাত্র দু’ বছর বয়সে । সেই শুরু — কৌশিক এর কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলেও আঁকার প্রতি ভালোবাসা তাকে আজ এই সন্মানের জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে । প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও নতুন কিছু তৈরী করার তাগিদ তাকে তাড়া করে বেড়ায় । আর সেই আগ্রহ আর কিছু করে দেখানোর তাগিদে একটার পর একটা মোট একশো ত্রিশ টা আর্ট পেপার জুড়ে আঠা দিয়ে জুড়ে স্কেচ করে তাতে ওয়েদার কোট করে এঁকেছে ত্রিশ ফুট দৈর্ঘ্য ও আঠারো ফুট প্রস্থের এক বিশালাকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রতিচ্ছবি যা ভারত জোড়া খ্যাতি পেয়েছে । কৌশিক নিজেই জানিয়েছেন যে এই ছবিটি তৈরি করতে পরিবারের সদস্যদের পাশে পেয়েছেন আর ছবিটিকে শক্তপোক্ত ও দীর্ঘদিন ঠিক রাখার জন্য আর্ট পেপারের পিছনে শাড়ীর ব্যাবহার করেছেন । আরও জানিয়েছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রতিচ্ছবি বানাতে ছ’ থেকে সাত লিটার রং লেগেছে । টানা পাঁচদিন এর অক্লান্ত পরিশ্রম করে সে এই ছবিটি এঁকেছে আর তার জন্য তার খরচ হয়েছে প্রায় দশ হাজার টাকা । সে আরও জানায় যে ছবিটি আঁকার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা যা করছে তার সম্পূর্ণ ভিডিও আকারে ” ইন্ডিয়া বুক” এ পাঠায় এবং রেকর্ডস এর জন্য আবেদন করে । তার পরিশ্রম ও আঁকার গুন কে স্বীকৃতি দেয় ” ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস”আর কৌশিক দে কে একটি সার্টিফিকেট ও একটি মেডেল দেয় সান্মানিক স্বরূপ। কৌশিক এর বাবা – মা গর্বের সাথে জানিয়েছেন যে কৌশিক ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে নিয়ে ভীষন আবেগপ্রবণ । এখন তাঁর ছবি এঁকে সে ভারত সেরা হয়েছে এটা তাঁদের জন্য খুব গর্বের।