কলমের খোঁচা

১২ ই জানুয়ারি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক দুঃস্বপ্নের দিন।


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:১২ই জানুয়ারি,২০২১:- সূর্য কুমার সেন ওরফে সূর্য সেন ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় যত্ন করে রাখা এক নাম ।যিনি শৃঙ্খলমোচনকারী মানুষের কাছে শিক্ষক। তাই তো তিনি মাষ্টারদা নামেই সমধিক পরিচিত ।

বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলেজে ছাত্র থাকাকালীন তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে হাতেখড়ি। অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিলেও তিনি উপলব্ধি করেন বিদেশী অত্যাচারিত শাসক যখন সশস্ত্র, তখন সশস্ত্র পথেই বিদেশীশাসন মুক্ত করতে হবে ।তিনি জানতেন কাজটা সহজ নয় ।কিন্তু স্বাধীনতা প্রেমী আত্মত্যাগী মানুষের কাছে কোনো কাজই কঠিন নয়। সমতল নয় ,বরং বন্ধুর পথই চলাতেই তাদের আনন্দ। এই বন্ধূর পথে সাথী পান তাঁর মতো অসমসাহসী ব্যক্তিদের ।

তাই তো তিনি পেরেছিলেন ব্রিটিশ শাসকের ভীত নাড়াতে। ভাবাই যায় না এক অসম যুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামকে পেরেছিলেন কিছুদিনের জন্য হলেও ব্রিটিশশাসন মুক্ত রাখতে। এক মরণপণ লড়াই এর দৃ‌ষ্টান্ত হয়ে আছে। জানতেন শেষ রক্ষা হবে না। তবুও একমুহূর্তের জন্য দূর্বল হননি। কিন্তু অসমযুদ্ধে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। তাই শেষশর্যন্ত ব্রিটিশ সেনার হাতে ধরা পড়েন। ব্রিটিশ শাসক যে তাঁর মৃত্যুদন্ড দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সেই দিন যেদিন মৃত্যু নয়, মাষ্টারদার আত্মবলিদান হয়।

জেলে তাঁর শেষ চিঠিতে তিনি বার্তা দেন আদর্শ ও একতার ওপর। আজ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই দুইয়ের বড়ো অভাব। তাই উত্তরসূরীদের একটা অংশ আজ বিভ্রান্ত, বিপথগামী। তাই যারা মাষ্টারদর আদর্শ আজও চিন্তায় ও চেতনায় লালন পালন করেন, তাদের সময় এসেছে আরো বেশী করে দায়িত্ব পালন করার। এই দিনে তাঁর জীবনাদর্শকে নতুন করে একবার আত্মীকরণ করা প্রয়োজন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।