জেলা

জলপাইগুড়ি জেলার খবর



নিজস্ব সংবাদদাতা ধূপগুড়ি ৩০ নভেম্বর ঃ- দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের একবছর পূর্ন হবার পর মোদি সরকার বাধ্য হলো কালা কৃষি আইন বাতিল করতে।বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টিকারি এই নজিরবিহীন কৃষক আন্দোলনকে স্মরন করা হয় মঙ্গলবার সকালে।এ আই কে এস ধূপগুড়ি থানা কমিটির উদ্যোগে এদিন সকালেই কৃষি নিয়ন্ত্রিত বাজারে মিছিল করে শহিদ বেদিতে ফুল মালা অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। হাটে ফসল বিক্রি করতে আসা অনেক কৃষক এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।শহিদ কৃষকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সারাভারত কৃষক সভার জেলা সভাপতি প্রানগোপাল ভাওয়াল , সম্পাদক মহবুব আলম জেলা কমিটির সদস্য দূর্গা চরন রায় জয়ন্ত মজুমদার প্রমুখ।

দীপশুভ্র সান্যাল জলপাইগুড়ি :: জলপাইগুড়ি এক মহিলা আইনজীবীর নিখোঁজের ঘটনায় শোরগোল জলপাইগুড়ি আইনজীবী মহলে। ওই আইনজীবীর নাম রীনা বাড়রী, বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের মোহন্ত পাড়ার তরুন দল ক্লাবের খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায়।
রবিবার রাতে শিয়ালদাহ থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে এস ফোর ৩৩ নম্বর আসনে জলপাইগুড়ি আসছিলেন তিনি।সোমবার সকাল আটটায় জলপাইগুড়ি ফিরে আসার কথা থাকলেও ঘরে না ফেরায় খোঁজ পরে ওই আইনজীবীর । শেষবার পরিবারের সঙ্গে রাত দশটা নাগাদ কথা হয়েছিল , সেই সময় তিনি বর্ধমানে ছিলেন। মোবাইল সুইচ বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যদের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের খবর শোনার পর তাঁরা পুলিশ ও প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন। ” পরিবারের তরফে রীনার দাদা শিবনাথ বাড়রী জানান বোনকে এনজেপিতে শেষ বার দেখা গেলেও এখনও নিখোঁজ। স্টেশনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে রহস্যভেদের দাবি জানায় পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা ধূপগুড়ি ৩০ নভেম্বর ঃঃ- সহায়ক মূল্যে সরকারের কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে এসে ব্যাপক হয়রানির মুখে কৃষক। প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করে ফড়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিতে এবং লাইনে দাঁড়াতে তাদের থেকে টাকা নিতে ব্যস্ত কর্মিরা। তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।একদিন সকালে এসে কাগজ জমা দিয়ে ধান নিয়ে আসার তারিখ দেওয়া টোকেন সংগ্রহ করতে হবে আরেক দিন ধান নিয়ে এসে লাইন দিয়ে ধান ওজন করে দিতে হবে আরেক দিন এসে লাইন দিয়ে ধানের দামের চেক নিতে হবে।আবার সব দিনেই এলে যে হবে তার সম্ভাবনা নেই , সকাল থেকে না খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে হয়ত শুনতে হবে আজ আর হবেনা।এর বাইরে আবার প্রতি কুইন্টালে ১০ কেজি করে ধান বাদ যাবে।এর পরেও মুক্তি নেই লাইনে দাঁড়াতে কৃষকদের মাঝে ফড়ে ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন আচমকা। অভিযোগ এক শ্রেনীর কর্মি দালাল চক্র তৈরি করেছে তারা ২০০ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে এই কাজ করছে।সব কিছু নিয়েই পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আছড়ে পড়লো মঙ্গলবার। বিশেষ করে যখন জানা গেল ফড়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কৃষকদের কাছ থেকে২০ কুইন্টাল ধান ক্রয় করার পরিবর্তে এবার ৬ কুইন্টাল ধান ক্রয় করা হবে। হয়রানির শিকার হয়ে এবং ব্যবসায়ী ফড়েদের সুবিধাদানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সমস্ত কৃষক জাতীয় সড়ক আটকে বসে পরেন।খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানা থেকে পুলিশ বাহিনী ছুটে যায়। কৃষকদের সাথে আলোচনা করেও কোনো সুরাহা না হলে সারাভারত কৃষক সভার নেতৃত্ব জেলা কৃষি দপ্তরে জানায়।
জলপাইগুড়ি থেকে কৃষি আধিকারিকরা এসে অবরোধকারী কৃষক এবং কৃষক নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনায় বসলে কৃষকরা তাদের সমস্ত অভিযোগ জানিয়ে দাবি করেন নথিভুক্ত ৫৫০০ জন ধান বিক্রেতা কৃষকের থেকে ৪৫ কুইন্টাল করে ধানক্রয় করতে হবে এবং ওজনে ১০ কেজি বাদ দেওয়া চলবে না। কৃষকের দাবিগুলো মেনে আধিকারিকরা জানান কাজের সুবিধার্থে প্রতিদিন ২০ জন কৃষকের কাছ থেকে ২০কুইন্টাল করে ধান ক্রয় করা হবে। এরপর জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।