জেলা

জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য সমাচার


দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি:চিন্তন নিউজ:২রা ডিসেম্বর:/- -পুলিশ দিয়ে লড়াই রোখা যাবে না দৃঢ় প্রত্যয়ে জানান দিল জলপাইগুড়ির ছাত্র-যুবরা।কালা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বরের সকাল সকাল সদর দক্ষিণের মন্ডলঘাট রেল স্টেশনের সব্জি বাজারে ছাত্র যুবরা সমবেত হয়েছিল ধর্মঘটের সমর্থনে। সব্জি বাজারে কৃষি পণ্য আনা কৃষক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রেল লাইন জুড়ে মানুষের ভীড় ছাপিয়ে যায় । কেন্দ্রীয় সরকারের দেশবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সমবেত মানুষের ক্ষোভের মধ্যে হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি আসা রেল অবরোধ হয়ে যায়। রেল দপ্তর যুবনেতা পলাশ সরকার, শিবু সরকারের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠায়। কৃষক ঘরের সন্তানের দুচোখে কালা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের শপথ। কাজ না পাওয়ার যন্ত্রণার মাঝে রেল দপ্তরের আইনি নোটিশ যেন দুই যুবকের জ্বলা আগুনে ঘি ঢেলেছিল। চট জলদি তাঁরা রেল পুলিশ দপ্তর জলপাইগুড়িতে উপস্থিত হয়ে ২৭সেপ্টেম্বর ধর্মঘটের দিন আন্দোলনের সমর্থনেে তাদের অংশগ্রহণ যে ছিল তা জানান দিয়ে বলেন, কৃষি বিল প্রত্যাহার না হলে দিল্লীর কৃষক আন্দোলনের সাথে তাল মিলিয়ে লাগাতার আন্দোলন হবে । দেশব্যাপী কৃষক শ্রমিক, ক্ষেতমজুর ছাত্র-যুবদের হার না মানা লড়াইয়ের সামনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হার মেনেছে। ৩০ নভেম্বর সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে দেশের সরকার। ওই দিন এনজেপি রেল দপ্তরের কোর্টে উপস্থিত থেকে জানান দেওয়া হলো ২৭ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট ছিল দেশ রক্ষার। কোর্ট থেকে সন্মানের সাথে বেরিয়ে যুবনেতা পলাশ, শিবু বলেন জেল- বেল বুঝি না দেশ বিক্রির বিজেপি, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই হবে সর্বাত্মক। এনজেপি কোর্টে উপস্থিত ছিলেন পার্টি নেতৃত্ব পীযূষ মিশ্র। তিনি বলেন এবার নূন্যতম মজুরি – ফসলের এম এস পি নিশ্চিয়তার দাবিতে দেশব্যাপী শ্রমিক কৃষক ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নেমেছে। এই লড়াইয়ে শ্রমিক কৃষকের ঘরের ছাত্র যুবদেরও অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে আন্দোলন সংঘবদ্ধ হচ্ছে। সরকারকে বাধ্য হতে হবে নূন্যতম মজুরি ও ফসলের এমএসপি নিশ্চিত করতে।

দীপশুভ্র সান্যাল আর‌ও জানাচ্ছেন:- জলপাইগুড়ি শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত এক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ রুখতে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসে পুর কর্তৃপক্ষ। বিয়ের অনুষ্ঠান ও বাজারের ভিড় এড়াতে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এরপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন । অন্যদিকে মাস্ক না পরা পুর নাগরিকদের চিহ্নিত করণ করতে রাস্তায় নামবেন পুর কর্তৃপক্ষ সঙ্গে থাকবে পুলিশ এমনটাই জানালেন পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। মাস্ক ছাড়া বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শহরের গত চার দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫জন। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের গত মঙ্গলবার একসাথে নয় জন আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে জলপাইগুড়ি শহরের পৌর এলাকায়। যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। শহরকে জীবাণুমুক্ত করতে তড়িঘড়ি মাইকিং করার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এদিকে যেসব জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই এলাকা চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে। আক্রান্তের বাড়ি ধরে ৫০ মিটার এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে পৌরসভা সূত্রে। এদিকে সংক্রমণ রুখতে শহরে ২৫, ১১ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জায়গা সহ মোট চার’টি এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে বলে জানালেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ মাহাতো। অন্যদিকে মাস্ক ছাড়া এখন অনেকেই রাস্তায় বের হচ্ছেন মেনে নিয়েছেন চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। তিনি বলেন,”মাস্ক ছাড়া বাসিন্দাদের চিহ্নিত করতে রাস্তায় নামা হবে। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে এরপরেও সর্তক হচ্ছেন না অনেকে এই কারণে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”এর মাঝে শহরে অবস্থিত কোভিড হাসপাতালে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিত কর্মী সংকোচন নীতির ফলে কোভিড হাসপাতাল অচল হতে চলেছে। কাজ হারিয়ে গতকাল অস্থায়ী কর্মীরা সকাল থেকে ধরনায় বসেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের এই নির্দেশের কারণ হিসেবে জানা গেছে আপাতত কোভিড হসপিটালে পেশেন্ট কম থাকায় হাসপাতালে স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কোভিড হাসপাতাল কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুরো এলাকায় যখন সংক্রমণ বাড়ছে তখন হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীরা পরিষেবা পাবেন তো? পরিষেবার অভাবে কোন রোগীর মৃত্যু ঘটলে তার দায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর নেবেন তো? প্রশ্ন অভিজ্ঞ মহলের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।