রাজ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের ও কলেজ কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয় খোলা হোক,দাবী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৮শে আগস্ট:– গত প্রায় দেড় বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ । এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক সহ ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে চরম বিপদে পড়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের দাবী অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের ও কলেজ কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয় খোলা হোক। ছাত্রছাত্রীদের দাবী এতদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে রাখলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হবে।

যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের জুটার সাধারন সম্পাদক পার্থ রায় ধারাবাহিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প খোলা হোক এবং ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দিয়ে যাদবপুর কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় এ পঠনপাঠন শুরু করা হোক। কিন্তু বারবার জানানো স্বত্তেও মমতা ব্যানার্জী সরকার এই দাবীর কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছেন না।শেষে নিরুপায় হয়ে কতৃপক্ষের সহায়তায় কলেজ ক্যাম্পাসে একটা ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প খোলা হয় জুন মাসে। এরপর জুলাই মাসে সরকার পক্ষ নিজেদের নাম কেনার জন্য একটা ক্যাম্প খোলার প্রস্তাব দেয়। পার্থ রায়ের বক্তব্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই বৈমাতৃক আচরন মোটেই কাম্য নয়। জুটার পক্ষ থেকে বারবার দাবী জানানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যিলয় খোলা হোক এবং পঠনপাঠন শুরু হোক।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন সমস্ত ৪৫ ঊর্ধ ব্যাক্তিদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ ও বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজকে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প খোলা হয়েছিল। প্রেসিডেন্সির এস এফ আই এর নেত্রী মিমোসা ঘড়াই পরিষ্কার জানিয়েছেন তাঁরা বরাবর বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দেওয়ার পক্ষে।জয়পুরিয়া কলেজের অয়ন মন্ডল জানিয়েছেন যে কবে সবার ভ্যাক্সিনেশন হবে তবে কলেজ খুলবে ,পড়াশুনা শুরু হবে এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।এমন ভাবতে গেলে আর কোনদিন ই কলেজ খুলবে না। এরপর করোনার তৃতীয় ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে। যদি তেমন কোন করোনার তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে কি হবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত একেবারেই শেষ।

বিপ্লবী ছাত্রফ্রন্টের তথাগত রায়চৌধুরী জানিয়েছেন এই স্কুল কলেজ না খোলা বা কলেজ খোলা নিয়ে টালবাহানা করা এবং এই অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছাত্রছাত্রীদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তথাগত রায়চৌধুরী আর ও জানিয়েছেন ইচ্ছা হলে কেউ টিকা নিতেও পারে আবার নাও নিতে পারে। ভ্যাক্সিন নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের একান্ত ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত।আর কবে সব পশ্চিমবঙ্গবাসী ভ্যাক্সিন পাবে তার কোন ঠিক নেই। কিন্তু প্রতিটা ছেলেমেয়ের একটা ভবিষ্যত আছে। যেভাবে কচ্ছপের গতিতে টিকা দেওয়া চলছে তাতে কবে এই সমস্যার সমাধান হবে তা সম্পূর্ন অনিশ্চিত।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।