দেশ

সত্যি কথা,আর রাজনীতি না কি সমার্থক!!!


শুভ্রেন্দু সমাজদার:চিন্তন নিউজ:২৯শে মার্চ:– সত্যি কথা বলার অর্থ রাজনীতি করা – এটাই এখন শেখানো হচ্ছে! শুধু এখন নয়, সমস্ত সময় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, বিপর্যয়ের সময় সত্যি বলতে নেই – সেটাই নাকি এই সময়ের দস্তুর!

সেই সময় কালোবাজারি থেকে সমস্ত ধরনের বদমাইশি চালু থাকবে, চালু থাকবে হাস্যময়ী’র লাস্যেভরা নাটুকে মুখের প্রচার – তবুও আমাদের সেই মুখের দিকে তাকিয়ে গান গাইতে হবে –
“তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী”!?

একদল মানুষ গৃহবন্দী থাকলেও সব অধিকার পাবে, আর একদল “করোনা’র” জন্য কাজ হারিয়ে উপোসী থাকবে – দেশের শাসককুল তখন সমস্বরে বৃন্দগানের সুরে আকাশ বাতাস মথিত করে বলবে – এই সময়ে রাজনীতি করতে নেই, ছিঃ।তারা গান ধরবে –
“তুমি খুশি থাকো, আমার পানে চেয়ে চেয়ে খুশি থাকো!”

দেশ ভক্তির চোঁয়া ঢেকুর তুলতে তুলতেই শাসকশ্রেণীর এজেন্ট হয়ে আপনিও ঐক্য গড়ার কাজে ব্যস্ত হবেন – মিথ্যা স্তোকবাক্য দিয়ে পেটের খিদে কে প্রশমিত করতে করতেই!

অতএব, এবং – হে সত্যি কথা, তোমার স্থান “হেথা নয়, হেথা নয় – অন্য কোথা, অন্য কোনখানে”!
হয়? ঐক্য হয়?
খেতে পাওয়া আর না পাওয়া মানুষের মধ্যে?
করোনা’র আতঙ্কে ঘরবন্দী হতেই হবে – এটা ঠিক। এটাও ঠিক – ঘরবন্দী তারাই হবে, যাদের ঘর আছে!সেই ঘরবন্দী হওয়ার তাগিদেই সারি সারি মানুষ পিঁপড়ের মতো পিলপিল করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হাঁটা পথেই পা মেলাচ্ছে!যেন দেশ ভাগ হওয়ার প’রে উদ্বাস্তুদের নিয়ে তৈরি করা চলচ্চিত্রের কোন “লাইভ টেলিকাস্ট” দেখছি!তাদের নেই কোন খাদ্য, সামাজিক বা সরকারি নিরাপত্তা!

প্রশ্ন উঠবে না?
যে সরকার ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা শোধ না করা শিল্পপতিদের সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারে – খেটে খাওয়া বিপন্ন মানুষের বেলায় তার এত উদাসী নিস্পৃহতা কেন?

এই সব সত্যি কথা বলা যদি রাজনীতি হয় – সেই রাজনীতি তো করবেই জনগণ।

করোনা’র বিরুদ্ধে লড়তে লড়তেই সর্বহারা তাদের হক আদায়ের জন্যেও লড়বো।

এটাই শেষ কথা!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।