বিদেশ

আমেরিকা জাগছে? (২)


রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ:৩রা জুন:- কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত‍্যায় আমেরিকার মিনিয়াপোলিস হয়ে সারা আমেরিকার উত্তাপ এখন বিশ্বময়। জার্মানি, ফ্রান্স, ইউরোপ, আফ্রিকা,লাতিন আমেরিকা, মধ‍্যপ্রাচ‍্য , এশিয়ার বিভিন্ন শহরে, ভারতে তথা বাংলায় তো বটেই, সর্বত্র এক মূর্খ ও ভারসাম্য হীন রাষ্ট্রপ্রধানের (শিল্পী লেডি গাগার কথায়) বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে উঠেছে। খবরে প্রকাশ, আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের কমিউনিস্ট পার্টি সহ বামপন্থীদলগুলির সদস‍্যরা এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে সমর্থন করে নিজের নিজের দেশের বর্ণ ও জাতি বৈষম‍্য তথা নানারকম শোষণ – বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। সিরিয়া- লেবাননের- চিলির আন্দোলনকারীরা মার্কিন প্রতিবাদী মানুষের সহমর্মিতা পৃথিবীতে বঞ্চিত শ্রেণীর লড়াইয়ের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে, যেমনটা নানান অভিজ্ঞমহল ধারণা করেছিলেন। খবর হল, ট্রাম্প না কি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছেন। বিষয়টি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে , রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প তাঁর স্বদেশবাসীকে সাবধান করে দিয়েছেন, জনগণের সম্পত্তি রক্ষায় যদি রাজ‍্যগুলি কার্যকরী ভূমিকা পালন না করে তবে তিনি নিজেই মারণাস্ত্র- সজ্জিত সেনাবাহিনীর সাহায্যে এই গণবিক্ষোভ দমন করবেন।এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সেনা বিভিন্ন জায়গায় নিযুক্ত আছে।

হোয়াইট হাউসের কাছের বিক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত। ট্রাম্প বাঙ্কার থেকে বেড়িয়ে নিকটবর্তী গির্জায় প্রার্থণা সেরে এসেছেন, বলে খবর।

আন্দোলনে জোয়ার আনতে চরম ইঙ্গিতপূর্ণ ও আবেগ – উৎসাহদ‍্যোতক কিছু জনপ্রিয় স্লোগান ও শব্দবন্ধ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন : ” বাঙ্কার বয়।” “আমিও শ্বাস নিতে পারছি না।” ” এমনই হতে পারতাম আমিও।”
” বর্ণবাদকে না।” ” বিচার নেই , শান্তি নেই।”
আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান, মুসা ফকি মহামাত, জর্জ ফ্লয়েড-য়ের মৃত‍্যকে স্পষ্টতই ‘ হত‍্যাকান্ড’বলে ঘোষণা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর ‘ চলমান বৈষম্য ‘ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখযোগ্য, এক মার্কিন কর্তা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ নিয়ে প্রবল সমালোচনা করেছিলেন। চীনের সরকারি মুখপাত্র তার জবাবে টুইট করেছেন :
” আমিও শ্বাস নিতে পারছি না”।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।