বিশেষ প্রতিবেদন: চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:১৫ই মার্চ:– খবরে প্রকাশ, ভারতের ব্রাহ্ম ( ব্রহ্মস) ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়লো পাকিস্তানের মাটিতে। সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী গত ৯ই মার্চ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে হরিয়ানার সিরনা থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যায় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৫০০ কিমি দূরে, দেশের পূর্বাঞ্চলের মিয়াঁ চান্নু এলাকায়। এটি ঘটেছে প্রযুক্তি গত ত্রুটির কারনে। ভারতের পক্ষে স্বস্তির বিষয় এই যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কারনে কোনো প্রানহানী ও তেমন কোনো সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনা ঘটেনি।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। যদিও ভারত স্বীকার করেছে যে এই ত্রুটি অনিচ্ছাকৃত এবং অভ্যন্তরীণ আদালতে উচ্চপর্যায়ে এর তদন্ত হবে। তবুও পাকিস্তান এতো সহজ জবাবে সন্তুষ্ট নয়। বিশেষ করে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন তারা সেই দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের নিন্দা করছেন ও যৌথ তদন্তের দাবী জানাচ্ছেন ।
পাকিস্তান জানাচ্ছে যেহেতু ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে সেহেতু তারাও এর তথ্যানুসন্ধান করতে চায়। এছাড়াও ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার ব্যবস্থা ও পদ্ধতিগুলো অবিলম্বে গ্রহন করতে হবে ভারতকে। উৎক্ষেপণের অনতিবিলম্বে ভারত কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পাকিস্তানকে ঘটনাটি অবগত না করে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার জন্যে অপেক্ষা করছিল দিতে হবে তার গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যাও। পুরো ঘটনা টি ভারতের কোনো কৌশলগত অস্ত্র কিনা সে বিষয়ে জানতে ও যথেষ্ট উদ্যোগী তারা। তাছাড়াও কি ধরনের অস্ত্র এটি ,এর স্পেশিফিকেশন কি, কি পরিস্থিতিতে এটি টার্ন নিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। এছাড়াও নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষণ এর মধ্যে উৎক্ষেপণও রয়েছে কিনা সেগুলি ও জানতে চায় তারা।
যদিও ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও দূর্ঘটনার তত্ত্ব, তবুও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই এই ঘটনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা আইনকে লঙ্ঘন করেছে। বিশেষতঃ এই পারমাণবিক পরিবেশে এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই ধরনের ত্রুটি হঠকারী বলে গন্য হওয়া স্বাভাবিক। তার উপর দুই দেশের সম্পর্ক যথেষ্ট স্পর্শকাতর। এই ঘটনা প্রমাণ করে কৌশলগত অস্ত্র পরিচালনায় ভারতের অনেক ফাঁকফোকর ও প্রযুক্তিগত ঘাটতি রয়েছে। কূটনৈতিক মহল আশা করছে, দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপে এই ঘটনার শান্তিপূর্ণ মিমাংসা খুব শীঘ্রই হবে।