মীরা দাস, চিন্তন নিউজ, ১৮ সেপ্টেম্বর: ব্যাঙ্ক সহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা জীবনবিমা নিগম মন্দায় শেয়ার বাজারে দর পায়নি। তবুও কেন্দ্রের নির্দেশে বেশি দাম দিয়ে শেয়ার কিনতে বাধ্য হয়েছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া।
আবার অনাদায়ী ঋনে সঙ্কটগ্রস্থ ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার কিনার পরেও বোঝা বইতে হচ্ছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে।
লাভজনক বিমা সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের দেনার দায় মেটাতে নিজেই আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত বছর আই.ডি.বি.আই এর ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ২১ হাজার কোটি টাকা নতুন মুলধন বিনিয়োগ করে। কিন্তু সেই মুলধন উবে যায় ব্যাঙ্কের বিপুল লোকসানের ফলে।
কেবল আই.ডি.বি.আই. নয় কর্পোরেট ঋন লোপাটে যারাই ভুগছে তাদের দায় টানতে শেয়ার কিনেছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের ঋন কিনেছে তারা। এই ব্যাঙ্কের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নীরব মোদী, মেহুল চোক্সীর মতো মানুষরা বিদেশে চম্পট দিয়েছে। তা ছাড়া কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কেরও শেয়ার কিনতে বাধ্য করা হয় লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে।
কোল ইন্ডিয়া, এন.টি.পি.সি, এন.এইচ.পি.সি, এন.বি.সি.সি, হিন্দুস্তান কপার, এই সব সংস্থার শেয়ার কিনেছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। মোদী জমানাতেই রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার শেয়ার কেনা দ্বিগুন হারে বাড়াতে হয়েছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে।মোদি সরকারের প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফার গোড়াতেই শেয়ার কেনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার শেয়ার কেনা এই বিমা সংস্থার মোট বিনিয়োগের ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।