চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১৬ই অক্টোবর:–বিশ্বক্ষুধা সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে অনেক নীচে ভারত।।
চলতি বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বক্ষুধা সূচকে ১১৯টি দেশের মধ্যে ১০৩ স্থানে নামলো ভারত।২০১৪তে যা ছিল ৫৫ নম্বরে, এবং ২০১৭ সালে ৪৫ধাপ নীচে নেমে ১০০নম্বরে।এবারও আরও তিন ধাপ নীচে নেমে এসে ১০৩ এ।।অতএব দেখা যাচ্ছে মোদী সরকারের সবকা সাথ সবকা বিকাশের বেলুন ফুটো করে ধারাবাহিক ভাবে নেমে আসছে ভারত,শুধুমাত্র বিশ্বক্ষুধা সূচকে নয় বিকাশের সর্বক্ষেত্রেই।
এই বিশ্বক্ষুধা সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো।এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও চীন। তারপর রয়েছে ভারতের স্থান।বাস্তবে বোঝা যাচ্ছে যে বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের বাস ভারতেই সর্বাধিক।
প্রসঙ্গত চারটি মাপকাঠিতে এই ক্ষুধাসূচক তৈরী করা হয়।অপুষ্টির হার,উচ্চতার তুলনায় ওজন কম(চাইল্ড ওয়েস্টিং),বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম এবং শিশু মৃত্যুর হার।তারমধ্যে চাইল্ড ওয়েস্টিং বা উচ্চতার তুলনায় ওজন কমের সমস্যাই ভারতে প্রকট। এই হার তালিকায় অন্য কোনো দেশের নেই। ভারতে এর হার ২০.৮%।ভারতের জাতীয় সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৪/১৫ সালের নিরিখে এই হার ছিল ২১%। এই তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে মোদীর শাইনিং গুজরাট।তালিকায় আরও রয়েছে ঝাড়খন্ড,মধ্যপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক।কারন বিপুল জনসংখ্যার কারনে ভারতের উপর এই ক্ষুধাসূচকের প্রভাব পড়ে।শুধুমাত্র সুষম পুষ্টিকর খাদ্য নয়, পানীয়জল, পয়ঃপ্রনালী, শৌচাগার এই সবকিছুই প্রভাব ফেলে শিশুদের পুষ্টি গ্রহণের ক্ষেত্রে।এর সঙ্গে আছে পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
সারাবিশ্ব জুড়ে বেড়ে চলেছে এই ক্ষুধার সূচক।মানবসমাজের এক ভয়বহ অংশ যে এই ক্ষুধাসূচক এর নীচে অবস্থান করছে তা মর্মান্তিক।আমাদের দেশে মিড ডে মিলের বাজেট কমছে।অন্যদিকে আবার বিভিন্ন দেশের ভ্রান্ত নীতির ফলে প্রতিদিন বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা, যা শুধুমাত্র ভারতকে নয় ক্ষুধাসূচকে বিশ্বকে নামিয়ে দেবে অনেক নীচে।