সীমা বিশ্বাস, আসাম ১ফেব্রুয়ারি,চিন্তন নিউজ:– সমগ্ৰ দেশের সঙ্গে আসামের বিভিন্ন জেলা এবং অঞ্চলে কিষাণ মোর্চা ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে ৩১ জানুয়ারি ২০২২তারিখে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করার প্রতিবাদে বিশ্বাস ঘাতকতা দিবস পালন করা হয়।
একবছরের অধিক সময় দিল্লির প্রবেশ পথে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা তিন কৃষক বিরোধী কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করে।এই আন্দোলনে ৭১৫জন কৃষক শহীদের মৃত্যুবরণ করেন। নানা ধরনের আক্রমণ, অপবাদকে তুচ্ছ করে, এবং গ্ৰীষ্মের দাবদাহ, হারকাঁপানো ঠান্ডা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করে অনমনীয় মনোভাব নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৫০০কৃষক সংগঠন সন্মিলিত হয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষকের উপস্থিতিতে আন্দোলন সংগঠিত করে সরকারকে বাধ্য করেছে কৃষক বিরোধী কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে।
সেই সঙ্গে আন্দোলন প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে একমাসের মধ্যে ফসলের লাভজনক মূল্যের আইনী নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য প্রস্তাবিত কমিটি গঠন করা,শ্বহীদের পরিবারগুলো কে আর্থিক সাহায্য দেয়া, বিদ্যুৎ সংশোধনী আইন প্রত্যাহার করা, উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরীতে কৃষক হত্যার সঙ্গে জড়িত কেন্দ্রীয় গৃহ রাজ্য মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনীক মন্ত্রীসভার থেকে বরখাস্ত করা, কৃষকের উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং দিল্লির সিংঘু সীমান্তে কৃষক শ্বহীদ স্মারক নির্মাণের জন্য ভুমি প্রদান করা ইত্যাদি দাবি পূরণ করবে বলে সরকার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই দাবি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করলনা।
সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার প্রতিবাদে সারা দেশে কিষাণ মোর্চা বিশ্বাস ঘাতকতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করে। আসামের সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহ্বায়ক টিকেন দাস এবং জয়ন্ত গগৈ তাদের বক্তব্যে বলেন যে, সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গুয়াহাটি র রোটারি ক্লাবের সন্মুখে বিশ্বাসঘাতকতা দিবসের কার্যসূচিতে শ্রমিক নেতা শতঞ্জীব দাস,বীরেন শর্মা, যুবনেতা নয়ন ভূঁইয়া,লোকনাথ অধিকা্রী, ছাত্র নেতা নিরঙ্কুশ নাথ, সঙ্গীতা দাস, মহিলা নেত্রী সীমা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।