দেশ

বিশ্বের বায়ুদূষণ যুক্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে ‘ স্বচ্ছ মিশনের’ ভারত।


বিশেষ প্রতিবেদন, চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ১ এপ্রিল,২০২২ – আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে একবার দার্জিলিং যাবার পথে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যেতো পরিষ্কার আকাশে। বিগত দু’বছরে করোনা মহামারীর প্রকোপে যানবাহন চলাচল, কল কারখানা সব প্রায় বন্ধ ছিলো। এই সময়ে বিহার,উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব থেকে হিমালয় দৃশ্যমান হচ্ছিলো। গংগার জল পানীয় হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু সম্প্রতি আই কিউ এয়ার নামে সুইডেনের একটি সংস্থা বিশ্ববায়ু মান সংক্রান্ত রিপোর্টে প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত১০০টি শহরের মধ্যে ৬৩ টি শহরই ভারতে। ১৯৯৮ সালের পর থেকেই দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে প্রধানত উত্তরপ্রদেশ,হরিয়ানায়। বিশ্বের দূষণে শীর্ষে থাকা ১৫ টি শহরের মধ্যে ১০ টি শহরই ভারতে। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত মিশনের অবাস্তবায়নের এক অনন্য শংসাপত্র এই রিপোর্ট। এই তালিকায় দিল্লি, ভিওয়াড়ি, গাজিয়াবাদ ছাড়াও নয়ডা, রোহতাক, হিসার, জৌনপুর শহরের নাম রয়েছে। যদিও দিল্লিতে দূষণ কমাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার নানারকম ব্যবস্থা নিয়েছেন। ফসল ওঠানোর পর বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা, যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ায় দূষণ কমাতেও নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হ’লেও দূষণ কমানো যায়নি।

দূষণেও পাকিস্তানের ভূমিকা খুঁজে বার করলো উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্টে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে চলতি শুনানিতে যোগী সরকারের আইনজীবী বলেন- উত্তরপ্রদেশের যে হাওয়া পাকিস্তানের দিক থেকে আসে তাতেই দূষণ বাড়ছে। এই অদ্ভুত যুক্তিতে অবাক হয়েছে আদালতও। এই বিষয়ে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে – ” আমরা মনে করি একদিকে দূষণের মাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনি অন্যদিকে সেই তুলনায় সরকারের তৎপরতা বাড়ছে না। আমরা চাই আপনি এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং উপযুক্ত সমাধান নিয়ে আসবেন। “

গবেষণা বলছে, শুধুমাত্র দূষিত পরিবেশের জন্য প্রতি ভারতীয়দের গড় বয়েস ৫.২ বছর কমে যাচ্ছে। দিল্লি ও কলকাতার মতন বড় শহরে গড়ে ৮ বছর আয়ু কমছে দূষণের কারণে। বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত রাজধানী শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।