কলমের খোঁচা

কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়,এর স্মরণে


তুলসী কুমার সিনহা:চিন্তন নিউজ:১৯শে মে:-বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালের ১৯শে মে ঝাড়খন্ডের দুমকাতে জন্ম গ্রহণ করেন ।

রবীন্দ্রত্তোর যুগে বাংলা কথাসাহিত্যে যে ক’জন লেখকের হাতে সাহিত্য জগতে নতুন বৈপ্লবিক ধারার সূচনা হয়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাকনাম মানিক। তার পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা নীরদাসুন্দরী দেবী। চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম। পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তদানীন্তন ঢাকা জেলার সেটেলমেন্ট বিভাগের সাব-রেজিস্টার। পিতার বদলির চাকরির সূত্রে মানিকের শৈশব-কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে ব্রিটিশ ভারতের বাংলা-বিহার ওড়িষার দুমকা, আরা, সাসারাম, কলকাতা, বারাসাত, বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি,প্রভৃতি এলাকায়।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ থেকে আই.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে গণিত বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন।এই কলেজে পাঠরত অবস্থায় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে তখনকার সময়ে বহুল প্রচলিত পত্রিকা ‘বিচিত্রা’তে তাঁর প্রথম গল্প ‘ অতসী মামী’ প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ধারাবাহিক ভাবে লেখা-লেখি শুরু করেন এবং সাহিত্য রচনাকেই তিনি তার মূল পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৯৩৮ সাল থেকে তার লেখায় কম্যুনিজমের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যে বস্তুবাদের প্রভাব লক্ষ্যণীয়।

১৯৫৬ সালে ৩’রা ডিসেম্বর মাত্র ৪৮ বয়সে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটে।এই স্বল্প জীবনে তিনি চল্লিশটি উপন্যাস ও তিন শত ছোট গল্প রচনা করেছিলেন।তাঁর জীবদ্দশায় শেষ দিকে খুব আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হয়েছিল।তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হলো:- (১)জননী (১৯৩৫),(২)দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫),(৩)পদ্মানদীর মাঝি(১৯৩৬)(৪)পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬),(৫)জীবনের জটিলতা (১৯৩৬),(৬)অমৃতস্য পুত্রাঃ (১৯৩৮) (৭)শহরতলি (প্রথম খণ্ড) (১৯৪০) (৮)শহরতলি (দ্বিতীয় খণ্ড) (১৯৪১)
(৯)অহিংসা (১৯৪১),(৯)ধরাবাঁধা জীবন (১৯৪১)
(১০)চতুষ্কোণ (১৯৪২) ,(১১)প্রতিবিম্ব (১৯৪৩)
(১২)দর্পণ (১৯৪৫),,(১৩)চিন্তামণি (১৯৪৬) প্রভৃতি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।