সুলেখা চৌধুরী: নিজস্ব প্রতিবেদন: ৯ই মার্চ:– কমরেড কনক মুখার্জি অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলাতে জন্মগ্রহণ করেন। ইংরেজিতে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী লাভ করে শিক্ষকতা শুরু করেন।১৯৩৭ সালে ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি প্রাদেশিক কমিটির সদস্যা ছিলেন।১৯৩৯ গার্লস স্টুডেন্ট অ্যাশোসিয়েশন গড়ে তোলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে অনেক সময় আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল। এছাড়াও তিনি অনেক বার কারাবরন করেন।
১৯৪৩ সালে তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক মহিলা আত্মরক্ষা সমিতিতে যোগদান করেন। তিনি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মরক্ষা মহিলা সমিতি-পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতির মুখপত্র ‘ঘরেবাইরে’ পত্রিকার সম্পাদিকা ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভানেত্রী এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সহ-সভানেত্রীর পদে আসীন ছিলেন।১৯৬৭সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশনের অলডার ম্যান হিসেবেনির্বাচিত হয়ে কর্মনৈপুন্যের পরিচয় বহন করেন।তিনি কবি – সাহিত্যিক ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সহ সভানেত্রী পদে আসীন ছিলেন।১৯৭৮ -১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্য সভার সদস্য ছিলেন।
তাঁর রচিত কবিতা ও গ্রন্থে ছত্রে ছত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন নারীদের প্রতি বঞ্চনা, সামাজিক বৈষম্য,নির্যাতন এছাড়াও তিনি শোষক শ্রেণীর শোষনের জর্জরিত জীবনের কথা তুলে ধরেছেন তাঁর লেখনীতে। আরও তুলে ধরেছেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সমাজতান্ত্রিক চেতনার কথা।
শেষ জীবনে তিনি তাঁর দৃষ্টি শক্তি হারালেও অদম্য মানুষিক জোরে তিনি লিখেছেন”মনে মনে”নামক অমূল্য গ্রন্থ। সুদীর্ঘ জীবনে তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মসাধনা, সাহিত্য সাধনা নারী আন্দোলনে সব সময় প্রথম সারিতে রয়ে গেছেন। ২০০৫ সালে ৯ই মার্চ তিনি কলকাতায় প্রয়াত হন।আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ ।