জেলা রাজ্য

চন্দননগর, শ্রীরামপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় বিপর্যস্ত নাগরিক জীবন।


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ – কি হচ্ছে, কার কথা মানা হবে, কার কথা নয় এই নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত আজ মানুষ। হঠাৎ জেলা শাসকের নির্দেশে খুলে গেলো বর্ধমানের বাজার, দোকান। শ্রীরামপুরেও মার্কেট কমপ্লেক্স খুলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রতরোধে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের কথায় ছিল আশঙ্কার আঁচ।

প্রশাসনিক ব্যর্থতার ছাপ সর্বত্র। চন্দননগর করোনা আক্রান্ত সংখ্যায় ক্রমশ এগিয়ে হটস্পট জোনে পরিণত হয়েছে। তার ওপর অশান্তির মাত্রা যুক্ত হয়েছে তেলিনিপাড়া কান্ডে। সংবাদপত্রে প্রকাশ ‘ মঙ্গলবার সকালে ভদ্রেশ্বর তাঁতি পাড়া, সেগুনবাগান, তেলিনিপাড়া এলাকা জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এলাকায় র‍্যাফ নামানো হয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির ও এডিজি সি.আই.ডি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত ঘটনা স্থলে যান। পুলিশ জানিয়েছেন এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন। এদিন এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। তিনি জানান আগামী ১৭ ই মে অবধি এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।’ এর জেরে দুই মহকুমার বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম নামে একটি নাগরিক সংগঠন বৃহস্পতিবার বন্ধ পরিষেবা চালু রাখার দাবিতে জেলাশাসকের কাছে দরবার করেন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত রাখার উদ্দেশ্যে তিনি জানান কোন ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। জেলাশাসক ওয়াই রাও জানান- ‘ এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

লকডাউন পরিস্থিতি মানুষকে অতি মাত্রায় ইন্টারনেট নির্ভর করে তুলেছে। স্কুলগুলিতে অনলাইন পড়াশোনা, পরীক্ষা চলছে নিয়মিত। বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা বাড়িতে বসেই অনলাইনে কাজ সারছেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্ম থেকে সবকিছুই ইন্টারনেট নির্ভর। এছাড়া বিষেশ অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে ব্যাংকের কাজে। সমস্তটাই অচল হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। এতদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় স্তব্ধ সমস্ত অনলাইন কাজকর্ম। এই দুই এলাকার সকল নাগরিক এই অবস্থার সুরাহা আর মানুষের শুভবুদ্ধির উদয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।