বিদেশ

বিদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ন খবর।


সঙ্কটময় লেবানন

কিংশুক ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:২১শে আগস্ট:- মাত্র দু’সপ্তাহ আগে বেইরুট বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটি এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত। বিস্ফোরণের ঘটনার বাহ্যিক এবং রাজনৈতিক প্রভাবের ব্যাপকতা এখন দেশটিতে অন্য সব কিছুকেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

এছাড়াও করোনাভাইরাস ও লকাডাউনে দেশটির অবস্থা সঙ্গীন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে এবং মানুষ উদ্বিগ্ন।

এর ওপর রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক দুরাবস্থা। গত বছরের শেষ থেকে দেশটিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ আরও খারাপ হয়েছে। মুদ্রার মূল্য পতন হয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে ব্যাপকভাবে এবং অনেক মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

বেইরুটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র বলে দিচ্ছে কীভাবে বিত্তশালী ও স্বচ্ছল লেবানীজরা প্রতিদিন দেশ ত্যাগ করছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুইহাজার পাঁচ সালের ফেব্রুয়ারিতে আততায়ীর হাতে নিহত মি. হারিরির হত্যার ঘটনার পনের বছর পর এই রায়ের বিশেষ কোনো তাৎপর্য আছে বলে মনে হয় না।

প্রসঙ্গত, পনের বছর আগে মি. রফিক হারিরি যে লেবাননে আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন তার সাথে আজকের লেবাননের অনেক তফাত রয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনী দেশ ত্যাগ করেছে অনেকদিন আগে। হেযবোল্লাহ এখন আগের থেকে অনেক শক্তিশালী, অনেক বড়। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামরিক জীবনের সব স্তরে তাদের এখন উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে।

গোষ্ঠীটির বিরোধীরা হয়ত মনে করতে পারে যে দুহাজার পাঁচ এবং দুহাজার কুড়ির বিস্ফোরণে হেযবোল্লাহর হাত ছিল, কিন্তু লেবাননে তাদের উপস্থিতি আজ এতটাই শক্তিশালী যে খুব কম মানুষই মনে করছে এই ট্রাইব্যুনালের রায় সেখানে কোনরকম প্রভাব ফেলবে। হেযবোল্লাহ্ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ্ ইতিমধ্যেই এই বিচার প্রক্রিয়া একটা ষড়যন্ত্র বলে প্রত্যাখান করেছেন

যে হেযবোল্লাহ গোষ্ঠীকে রফিক হারিরির মৃত্যুর জন্য অনেকে দায়ী করে থাকে, সেই মি. হারিরির কনিষ্ঠ পুত্র সাদ হেযবোল্লাহর সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন।

তিনি হেযবোল্লাহর সাথে জোট গঠন করে ইতোমধ্যেই দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি যদি আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তাহলে আবার তার জন্য হেযবোল্লাহর সমর্থন প্রয়োজন হবে।

তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন,

তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিটারানিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টার সেন্টার (ইএমএসসি)। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা তেত্রিশ মিনিটে এই কম্পন ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এই কম্পনের অভিঘাত ছিলো ছয় দশমিক ছয় বলে জানান হয়েছে।

ফিলিপাইনের ভূ-তাত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে উপকূলীয় এলাকায় কিছু বাড়ি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কিন্তু এখনো কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে আফটার শকের ঝুঁকি রয়েছে। সংস্থার প্রধান রেনাতো সোলিদাম স্থানীয় একটি রেডিও চ্যানেলকে বলেছেন, ‘শক্তিশালী আফটার শকের সম্ভাবনা বাতিল করা যায় না।’

ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল রাজধানী ম্যানিলা থেকে চারশত একান্ন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল প্রায় দশ কিলোমিটার।
রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষনিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।