জেলা

হুগলি বার্তাঃ–


চিন্তন নিউজঃ- সোমনাথ ঘোষঃ-হুগলি জেলার প্রবাদ প্রতিম কমিউনিস্ট নেতা , জেলার সম্পাদক মন্ডলীর প্রাক্তন সদস্য ও প্রাক্তন সাংসদ কমরেড রূপচাঁদ পাল গত ১৬ ই আগস্ট ২০২২ বয়সজনিত কারণে সকাল ১০:৫৫ মিনিটে প্রয়াত হন। তাঁর ইচ্ছানুসারে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চে তাঁর চক্ষুদান করেন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহায়তা করার জন্য তাঁর দেহদান করা হয় । তিনি অকৃতদার ছিলেন । বৌদি ,ভাইপো ও ভাইজি কে নিয়ে তাঁর সংসার জীবন । তিনি হুগলি মহসীন কলেজ এর কৃতি ছাত্র ও পরে বাগাটি কলেজ এবং পরে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ এর ইংরাজীর অধ্যাপক ছিলেন । সংসদীয় রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন পার্টির মুখ্য সচেতক । তিনি পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য বিশেষ ভাবে সমাদৃত হয়েছিল । সংসদীয় প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছিলেন ও তাঁর বক্তব্য পেশ করেন । হুগলি জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ই আমলে হুগলি শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র ,পি আর সি , ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে উঠেছে । তিনি ছিলেন সৎ এবং নির্ভীক মানুষ । তাঁর সমধুর ব্যাবহার ও বক্তব্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল । গনশক্তি পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন লেখা বিশেষ সমাদৃত হয়েছে। ১৯৫৮ সালে তিনি পার্টির সদস্য পদ পান । ব্যান্ডেল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানা খোলার জন্য সংসদে বার বার তদ্দির করেছেন । এই রকম একজন রাজনীতিবিদ কে হারিয়ে হুগলি জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ভীষন ক্ষতির মুখে পড়েছে।প্রয়াত কমরেড রূপচাঁদ পাল এর স্মরণ সভায় চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে বলছেন কমরেড বিমান বসু । শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কমরেড শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, কমরেড দেবব্রত ঘোষ, কমরেড মিতালি কুমার, তাঁর ভাইঝি শর্মিষ্ঠা দে সহ অন্যান্যরা। সভাপতিত্ব করেন কমরেড মনোদীপ ঘোষ ।

রঘুনাথ ঘোষঃ-হুগলীর গোঘাট থানার বামপন্থী গণসংগঠনগুলির উদ্যোগে বেঙ্গাই চৌমাথা থেকে গোবিন্দপুর পর্যন্ত মহামিছিলে মানুষের ঢল নামে। প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষ মিছিলে পা মেলান ।মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া।প্রায ছয় কি মি পথ শ্লোগানে মুখরিত মিছিল গোবিন্দপুরে পৌঁছায়। রাস্তার দুই ধারে অসংখ্য মানুষ মিছিল দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। ভয় ভীতি কাটিয়ে গোঘাটে সন্ত্রাসের বেড়া জাল ভাঙতে শুরু করেছে। ১৬ টি অঞ্চল থেকেই গাড়ি ভাড়া করে মানুষজন তিনটা থেকে আসতে থাকে। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন তরুণ ঘোষ, শিবপ্রসাদ মালিক, দীপক লাহা, ভাস্কর রায়। মিছিলে ছিলেন দেবু চ্যাটার্জী, অরুন পাত্র, তিলক ঘোষ, জাকির হোসেন, মহঃ ইযাসিন, সত্যসাধন ঘোষ, নিরঞ্জন পন্ডিত, মুক্তা রায়, কবিতা পাল ও ছাত্র যুবরা ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।