জেলা

আজকের হুগলি জেলার সংবাদ ও হুগলি জেলার শহীদ দিবস পালন :-


রুদ্র চক্রবর্তী:- চিন্তন নিউজ :৩১শে আগস্ট,২০২০, বাঁশবাড়িয়া খাদ্য আন্দোলনের শহীদ স্মরণে সিপিআইএম এর ডাকে সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যপী ৭৭১৭৪ বুথে যে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সেই মতো ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী ডানলপ_ বাঁশবাড়িয়া _ চন্দ্রহাটি এরিয়া কমিটির অন্তর্গত ৫ নং শাখার ১৭২ সরকারি পল্লী ও ১৭৪ নং বুথে পতাকা উত্তোলন করা হলো। ১৭২ নং বুথে পতাকা উত্তোলন করেন ৫ নং শাখার পার্টি সদস্য কমরেড রুদ্র চক্রবর্তী। ১৭৪ নং বুথে পতাকা উত্তোলন করেন ৫ নং শাখার প্রাক্তন ব্রাঞ্চ সম্পাদক কমরেড অজয় গুহ।। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী যৌথ জেলা ফেডারেশনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড রবীন দাস, কমরেড রঘুনাথ পাল, কমরেড সনৎ বড়াল, কমরেড রতন সেনগুপ্ত, কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কমরেড সোমনাথ কর্মকার , কমরেড কৃশানু, কমরেড পুলক, কমরেড সৌভিক। খাদ্য আন্দোলন এর অমর শহীদ / লহ মোদের লালে লাল লাল সেলাম।।

সোমনাথ ঘোষ:-খাদ্য আন্দোলন পরবর্তীকালে গন আন্দোলনের শহীদ দিবসে শিয়াখালার ১৯ টা বুথে মোট ২১ জায়গায় কর্মসূচিতে আমরা ।
পতাকা উত্তোলনে কমরেড সোমনাথ ঘোষ ও কমরেড রঘুনাথ ঘোষ কমরেড পুষ্প পাত্র কমরেড তপন ব্যানার্জি সহ অন্যান্য রা। বুথে বুথে অভূতপূর্ব সাড়া।

কৌশিক মালিক আরামবাগ থেকে জানিয়েছেন যেকানপুরে খাদ্য আন্দোলনে শহীদ দের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হলো,,,,। বহু বুথে পালিত হল শহীদ দিবস:-_

চুঁচুড়া ৪নাম্বার ব্রাঞ্চ এর উদ্যোগে খাদ্য শহীদ দিবসে মিলান পল্লীতে ও দেশবন্ধু পল্লীতে রক্তপতাকা উত্তলন এবং শহীদ বেদীতে মাল্যদান কর্মসূচি পালিত হলো। চুঁচুড়া ৯ নাম্বার ব্রাঞ্চ এর পক্ষে আজ খাদ্য শহীদ দিবসে লোহাপট্টি ও খাগড়াজোলে রক্ত পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হলো । চুঁচুড়া ১১ নাম্বার ব্রাঞ্চ এর পক্ষে শহীদ দিবসে হুসেন গলি , বারোবাজার ও মোগলটুলি ৩ জায়গায় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে মাল্যদান কর্মসূচি পালিত হয়। চুঁচুড়া ১১ নাম্বার ব্রাঞ্চ এর পক্ষে শহীদ দিবসে হুসেন গলি , বারোবাজার ও মোগলটুলি 3 জায়গায় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে মাল্যদান কর্মসূচি পালিত হয় l। হুগলি এরিয়া কমিটির ৯ নং শাখার উদ্যোগে শহীদ দিবস পালন।।

আজকের শহীদ দিবস পালিত হল চন্দননগরের ১ নং হরিদ্রাডাঙায়।বাঁশবেড়িয়া এরিয়া কমিটির ত্রিবেণী১০ নং শাখার উদ্যোগে খাদ্যআন্দোলনের স্মরণে রক্তপতাকা উত্তোলন।

চন্দননগর থেকে চৈতালি নন্দী জানিয়েছেন যে আজ ৩১ শে আগস্ট । আজ শহীদ দিবস । ১৯৫৯ এর খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করার দিন । মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি সদস্য, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ী নাগরিকবৃন্দ আজ সকাল ন’টার সময়ে কুঠিরমাঠ সংলগ্ন ‘স্বাগতম’ অনুষ্ঠানবাড়ির সামনে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মিলিত হন । ভাবগম্ভীর এই অনুষ্ঠানে পার্টির পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় । তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে আজকের দিনটির তাতপর্য্য ব্যাখ্যা করে আজকের সময়ে এর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন তিনি ।

চৈতালি নন্দী আরও জানিয়েছেন যেআজ খাদ‍্য আন্দোলনের শহীদ দিবস।১৯৫৯ সালের ৩১শে আগস্ট খাদ‍্য আন্দোলনের ৮০ জন আন্দোলনকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন।পরেরদিন এর প্রতিবাদে ছাত্রযুবরা বিক্ষোভ দেখালে তাদের উপরেও গুলি চলে।এই ঐতিহাসিক খাদ‍্য শহীদদের স্মরনে অর্ধনমিত রাখা হোলো জাতীয় পতাকা।চন্দননগর ১ নং ওয়ার্ডের সিপিআইএম এর শহীদ স্মরণ।

সুদীপ্ত সরকার:-২০১১সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারা বাংলা জুড়ে পরিকল্পিত সন্ত্রাস, অশান্তি, গন্ডগোল করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট বিরোধী সমস্ত শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিলো৷হুগলী জেলার জাঙ্গীপাড়া থানাও এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বাদ যায়নি৷ তারপর পরিবর্তনের জমানায় ১০টা অঞ্চল জুড়ে শুরু হয়েছিল শাষক দলের ব্যাপক সন্ত্রাস৷ ১লা মে, ৩১ শে আগষ্ট, নভেম্বর বিপ্লব বার্ষিকীতে পার্টি অফিস গুলিতে লাল পতাকা উত্তোলন প্রায় করাই যেত না৷ হাওড়া – হুগলী সীমান্তবর্ত্তী ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে মুন্ডলিকা, কোতলপুর, দিলাকাশ, রসিদপুর অঞ্চলগুলিতে সন্ত্রাসের তীব্রতা ছিল অনেকটাই বেশী৷ ২০১৭ সালে সাংগঠনিক নিয়মে পূর্বতন জোনাল কমিটির স্হলে এই ৪টি অঞ্চল আর জাঙ্গীপাড়া অঞ্চল সহ ১০৪টি বুথ নিয়ে তৈরী হয় জাঙ্গীপাড়া ১নং এরিয়া কমিটি৷ অন্যদিকে রাজবলহাট -১ ও ২ নং অঞ্চল, আঁটপুর, রাধানগর, ফুরফুরার ১০২ টি বুথ নিয়ে তৈরী হলো জাঙ্গীপাড়া ২নং এরিয়া কমিটি৷

আজ ৩১ শে আগষ্ট ২০২০, ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনের শহীদ দিবস৷ রাজ্য পার্টির আহ্বান ছিলো সব বুথে লাল পতাকাত্তোলন করতে হবে৷ সেই মতো শুরু হয় পরিকল্পনা আর প্রস্তুতি৷ অবশেষে কমরেডদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১নং এরিয়া কমিটির ১০৪টি বুথের ৯৪টি বুথে ১০৫টি জায়গায় প্রায় ১১০০মানুষের যোগদানের মধ্য দিয়ে রক্ত পতাকা উত্তোলিত হলো৷ কর্মীরা গতকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সকালে পতাকা তোলার সময় এলাকার মানুষ এসে ভীড় করে দাঁড়িয়েছেন৷ এটা গোটা থানা এলাকার প্রায় সর্বত্র লক্ষ্য করা গেছে৷ জাঙ্গীপাড়া ২নং এরিয়া কমিটির ১০২টি বুথের ৭১টি বুথে ৭৫টি স্হানে পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং প্রায় ৮১০ জন মানুষ আজকের কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন৷

আজ দীর্ঘ ৯বৎসর পর রসিদপুর অঞ্চলের সুকান্তপার্কে বেলা ১০টায় সমগ্র অঞ্চলের পার্টি কর্মীরা লক ডাউনের মধ্যেই শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে সমবেত হন৷ এই জায়গাই এক সপ্তাহ আগে সংবাদের শিরোনামে আসে৷ শাষকদলের গোষ্ঠীদন্ধ, বি.জে.পির সাথে গোপন বোঝাপড়ায় পঞ্চায়েতের বাঁটোয়ারায় গন্ডগোল নিয়ে তুলকালাম দেখেছিলো রসিদপুর৷ পঞ্চায়েত সমিতির গাড়ি ভাঙ্গচূর, দু দলের এমনকি সাধারণ মানুষেরও বাইক ভাঙ্গচূর হয়েছিল৷ দু পক্ষের অনেককে আহত হয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্ত্তী হতে হয়৷ সেই সুকান্তপার্কে আজ পতাকা উত্তোলিত হলো৷ রক্তরঞ্জীত পতাকা উত্তোলন করেন জাঙ্গীপাড়া থানা কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা কমরেড শ্যামল পালধি৷ উপস্হিত ছিলেন থানা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি কমরেড সুদীপ্ত সরকার, থানা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃত্ব কমরেড পরেশ দলুই, থানা কৃষক সমিতির নেতা কমরেড গণেশ পাল, রসিদপুর অঞ্চলের গণ আন্দোলনের নেতা কমরেড গোলক দে, পরেশ চ্যাটার্জী, রবীন কুন্ডু, সমর চক্রবর্ত্তী সহ অন্যান্ন নেতৃত্ববৃন্দ৷

আজকের কর্মসূচী রূপায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করা সকল পার্টি কর্মী, সমর্থকদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানান কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরী, কমরেড জয়দেব চ্যাটার্জী, কমরেড অলোক সিংহরায়, কমরেড হরপ্রসাদ সিংহরায়৷।

সোমনাথ ঘোষ:–গঙ্গাধরপুর শাখার প্রয়াত কমরেড কালিপদ সাঁবুই এর স্মরণ সভা আজ তাঁর বাড়ি সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ।
গনসংগীত পরিবেশন করেন মসাট সৃষ্টি শাখার পক্ষে কমরেড ঘনশ্যাম দাস।
সভায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন কমরেড তাপস মোদক।
স্মৃতিচারণ করেন শাখা সম্পাদক কমরেড সুব্রত দাস, কমরেড সোমনাথ ঘোষ, কমরেড স্বপন বটব্যাল, কমরেড আব্দুল হাই ও কালিপদ সাঁবুই এর ভ্রাতৃবধু বাসন্তী সাঁবুই ।সভাপতিত্ব করেন প্রবীন কমরেড রাসবিহারী চক্রবর্তী ।

সিদ্ধার্থ গুহ হুগলি জেলার ডানকুনি থেকে জানিয়েছেন যে , করোনা ভাইরাস আবহে মানুষ দ্বিধা গ্রস্থ।গোটা বিশ্বে ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।সমগ্র ভারতবর্ষে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশ ভয়াবহ।এই পরিস্থিতিতে দিন রাত এক করে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেছে ভ্যাক্সিন বের করার জন্য, তার মধ্যে রাশিয়া ও অঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা আসার আলো দেখিয়েছে।

ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই আতঙ্ক থেকে রেহাই দিতে হুগলী জেলার ডানকুনি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাম ছাত্র যুব ও শিক্ষকদের উদ্দ্যোগে প্রতিটি বাড়ি স্যানিটাইজড করা হলো।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে বিরাট উৎসাহ চোখে পড়ে। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ বাম ছাত্র যুবদের এই উদ্দ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছে।। অনেক পরিবারের অভিযোগ যখন ডানকুনি তে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন গুলো ডানকুনিতে আসতো,তখন শুধু মেইন রোডই স্যানিটেশন করা হত এক রাজনৈতিক স্বার্থে,কোনো দিন ও আজ পর্যন্ত প্রতিটি পাড়ার প্রতিটি বাড়ি স্যানিটাইজড করা হয়েনি।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।