জেলা

হুগলি বার্তাঃ-


  

চিন্তন নিউজঃ- ভক্তরাম পানঃ-১৮/০২/২০২২– ১৯৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ১ বছর পার না হতেই ১৯৪৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী দেশে প্রথম কৃষকের রক্তে মাটি ভেজে হুগলী জেলার সিঙ্গুর থানার বড়া – কমলাপুর গ্রামে। জমিদার ও পুলিশের যৌথ হিংস্র অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপরে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের পুলিশ নির্বিচার গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে বোড়াই গ্রামের কমরেড কার্তিক ধাড়া ও গুইরাম মণ্ডল লাগোয়া কমলাপুর গ্রামে শহীদের মৃত্যুবরণ করেন। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী কমরেড কার্তিক ধাড়া ও গুইরাম মণ্ডলের শহীদি বরণের ৭৫ তম দিবস। শহীদদের স্মরণে লাল পতাকায় সেজে উঠেছে বড়া – কমলাপুর। সকাল ৯ টায় শহীদ স্মরণ। ৯.৩০ টায় শহীদ স্মারক মশাল সহ বাইক মিছিল দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ডুবির ভেড়ির পঞ্চজননীর শহীদ স্মারক স্তম্ভে পৌঁছবে সকাল ১১টায়। শহীদ স্মরণের পরে ডুবির ভেড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবির। বিকাল ৩ টায় ডুবির ভেড়ি সমবায় সংলগ্ন মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করবে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সংঘের হুগলী জেলা কমিটি।

তেভাগা আন্দোলনের ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে হুগলী জেলার পোলবা থানার আমনান গ্রাম পঞ্চায়েতের কচুয়া মোড়ে শহীদ পঞ্চজননীর স্মৃতিতে স্মারক তোরণ। আগামীকাল ১৯/০২/২০২২, পোলবা থানার ডুবির ভেড়ির কমরেড মুক্তকেশী মাঝি, পাঁচুবালা ভৌমিক, দাসীবালা মাল, চণ্ডীবালা পাখিরা ও পুষ্পবালা মাঝি – পঞ্চজননীর শহীদ স্তম্ভে শহীদ বরণের ৭৪ তম দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে। গোটা ডুবির ভেড়ি সহ পাশ্ববর্তী গ্রামগুলি সেজে উঠেছে লাল পতাকায়। ডুবির ভেড়ি গ্রামে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার সভাপতি কমরেড বিপ্লব মজুমদার, সম্পাদক কমরেড অমল হালদার ও ” কৃষক সংগ্রাম ” পত্রিকার সম্পাদক কমরেড সঞ্জয় পুততুণ্ড। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রবীণ কৃষক নেতা কমরেড আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। সমগ্র কর্মসূচি সফল করতে এলাকার কমরেডগণ প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে চলেছেন । উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের দেড় বছর পরে ১৯৪৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী তেভাগার দাবিতে উত্তাল আন্দোলনে মিছিলের সামনে থাকা পঞ্চজননী কমরেড মুক্তকেশী মাঝি, পাঁচুবালা ভৌমিক, দাসীবালা মাল, চণ্ডীবালা পাখিরা ও পুষ্পবালা মাঝি তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের ঘাতক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। অত্যাচার, নিপীড়ন, আত্মত্যাগ, জেল-জরিমানা ও শহীদ বরণের মধ্য দিয়েই কৃষক তেভাগার অধিকার আদায় করেছেন। তাঁদের সেই অবদানকে যেন মানুষ না ভোলে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।