সীমা বিশ্বাস, আসাম: চিন্তন নিউজ:১৮ই ফেব্রুয়ারি:- গত ১৫, ১৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২২, মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির ২৩ তম অসম রাজ্য সন্মেলন বরাক উপত্যকার শিলচর শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সন্মেলনকে কেন্দ্র করে শিলচর শহরটাকে লাল পতাকায় সুসজ্জিত করা হয়েছিল। সন্মেলনের শুভারম্ভ হয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা কমরেড হেমেন দাস। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত মানিক সরকার এবং নিলোৎপল বসু সঙ্গে উপস্থিত প্রতিনিধিবৃন্দগণ।
পরবর্তীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য প্রাক্তণ সাংসদ বৃন্দা কারাত, পলিটব্যুরো সদস্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, পলিটব্যুরো সদস্য প্রাক্তন সাংসদ নিলোৎপল বসু, আসামের প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা হেমেন দাস, আসামের একমাত্র বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদার। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে আসামের পরিস্থিতি বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। বিকেল ৫টায় প্রতিনিধি সন্মেলন আরম্ভ হয়। হেমেন দাস, রেজামন্দআলি বঢ়ভূঞাঁ, উদ্ভব বর্মন, পূণ্য বড়ো, সত্যবতী ভূঁঞা এবং অমিয় কুমার সন্দিকৈকে নিয়ে সভাপতিমণ্ডলী গঠিত হয়। পর্যবেক্ষক হিসেবে তিনজন পলিটব্যুরো সদস্য ক্রমে বৃন্দা কারাত, মানিক সরকার এবং নিলোৎপল বসু উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সম্পাদক দেবেন ভট্টাচার্য্য গুরুতর অসুস্থ থাকায় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুপ্রকাশ তালুকদার প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। ৩১৩ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতিবেদনের উপর ৬১জন প্রতিনিধি আলোচনা করে প্রতিবেদন সমৃদ্ধ করেন। ১৮টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। মানিক সরকার আলোচনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাঁর বক্তব্যে বলেন যে এই সন্মেলন ঐক্য এবং প্রত্যয়ের সন্মেলন।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী ৫০ জনের কমিটি গঠন করা হয়।বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকেন হেমেন দাস,উদ্ধব বর্মন এবং সত্যবতী ভূঁঞা। সম্পাদক হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হন সুপ্রকাশ তালুকদার।
সন্মেলনকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মনোগ্ৰাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দি মজুমদার।বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদার সহ অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনায় উপস্থিত সকলে এক সুন্দর সন্ধ্যার উপহার উপভোগ করেন।