জেলা

হুগলি বার্তা


চিন্তন নিউজ:১৮/১১/২০২৩:-চৈতালি নন্দীঃ-চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে ফটকগোড়ায় মধ্য পশ্চিম এরিয়া কমিটির উদ্যোগে মার্কসীয়, প্রগতিশীল ও শিশু সাহিত্যের বইয়ের স্টল উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করলেন সিপিআই(এম) হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড৷ দেবব্রত ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড শ্রুতিরাজ প্রহরাজ, প্রবীন পার্টি নেতা কম: রেবতীমোহন সাহা।

ক) জয়দেব ঘোষঃ-আজ আরামবাগ- ১ এরিয়ার তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের গোর পুকুর মোড় থেকে তিরোল গ্রামের শিয়ালি মোড় পর্যন্ত মিছিল ও শিয়ালি মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে প্রায় তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। পথ সভায় বক্তব্য রাখেন পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জী, শক্তি মোহন মালিক , উত্তম সামন্ত ও যুবনেতা সাবের আলী। পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুশান্ত মন্ডল। মিছিল দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

জয়দেব ঘোষঃ-খ) গোঘাট পূর্বতন জোনাল কমিটির সদস্য বর্তমানে পার্টি সদস্য কমরেড তপন পাত্র গতকাল ১৭।১১।২৩ তারিখে বিকাল ৪ টা ১৩ মিনিটে বেঙ্গাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ইদলবাটি গ্রামের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পূর্ব ঘোষণামত আজ ১৮।১১।২৩ তারিখে তাঁর বাসভবন থেকে মরদেহবাহী গাড়ি কামারপুকুর চটির পার্টি অফিসে সকাল আটটায় এসে পৌঁছায়। তপন পাত্রর মরদেহে পার্টির লালপতাকা দিয়ে ঢেকে দেন দেবু চ্যাটার্জি,অভয় ঘোষ, ভাস্কর রায়,সত্যসাধন ঘোষ, মহঃ ইয়াসিন।দুটি এরিয়া কমিটির সদস্যগণ , অসংখ্য কর্মী সমর্থক তপন পাত্রর মরদেহে মাল্যদান করেন। তপন পাত্রর ভাই দিলীপ পাত্র শ্রদ্ধা জানান।বাঁকুড়া জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডীর সদস্য তাপস চক্রবর্তী সহ কোতুলপু্র ও শিহড়,জয়রামবাটি এলাকার পাটি নেতৃত্ব ও কর্মীগণ মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ভাস্কর রায়।শোক প্রস্তাব:—কমরেড তপন পাত্র নানান আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৮০ সালে পার্টি সদস্যপদ অর্জন করেন। গোঘাট দুই নম্বর পূর্বতন লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন।১৯৯৮ সালে পূর্বতন জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন । ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তৃণমূল ও বিজেপি জোট পশ্চিম ও উত্তর দিকে যে সন্ত্রাস কায়েম করেছিল তাকে মোকাবেলা করে শান্তি ফেরাতে তপন পাত্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।২০০৯ সালে তাঁর হঠাৎ করেই স্ট্রোক হয়। চিকিৎসার পর কয়েকবছর ভালো ছিলেন।২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজ গ্রাম সহ পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।২০১৪ র শেষ দিকে তপনের শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে । কয়েক বছর হল, তাঁর হাঁটাচলা ,কথাবার্তা বলা সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর একপ্রকার শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন। কম তপন গরীব পাড়ায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মানুষের বিপদে আপদে ছুটে যেতেন। গরীব মানুষদের কাছে তপন ছিলেন আপনজন।যে কোন অন্যায়, অবিচার হলে প্রতিবাদে সোচ্চার হতেন।এরকম একজন দৃঢ়চেতা নেতৃত্বকে আমরা হারালাম। তিনি রেখে গেলেন তাঁর বৃদ্ধা মা,স্ত্রী,কন্যা, নাতি, দাদা, ভাই, ভাইপো বোন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে আন্তর্জাতিক সংগীত পরিবেশন করে কামারপুকুর চটির পার্টি অফিসের কর্মসূচি শেষ হয়।
তপন পাত্রর মরদেহবাহী গাড়ির সাথে কামারপুকুর চটি পর্যন্ত শোক মিছিল করা হয়।
এরপর শবদেহবাহী গাড়ী বেঙ্গাই গ্রামের লক্ষীতলা পাটি অফিসে আনা হয়। অনেক মানুষ শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানোর পর গাড়ী বেঙ্গাই চৌমাথায় এলে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।তপন পাত্রর হাতে গড়া চৌমাথায় বেঙ্গাই নেতাজী সংঘের প্রাঙ্গনে তপন পাত্রর মরদেহ নামানো হয়। সংঘের পক্ষে মাল্যদানের পর শবদেহবাহী গাড়ী শেষকৃত্যের জন্য শ্মশান ঘাটের দিকে রওনা দেয়।

রোহিত রায়ঃ- মানকুন্ডু তেলিনিপাড়া এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে আজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) মানকুন্ডু স্টেশন রোডে মার্কসীয় প্রগতিশীল সাহিত্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন হল । এই বুকস্টল চলবে ১৮/১১/২০২৩ – ২২/১১/২০২৩ পর্যন্ত।

সোমনাথ করঃ-যুব (DYFI) ও মহিলা (AIDWA) ব্যান্ডেল কোদালিয়া আঞ্চলিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আজ প্রিয় নগরে মার্কসীয় ও প্রগতিশীল সাহিত্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন হলো। উদ্বোধক কম: শিবানী দাসগুপ্ত(AIDWA)
মহিলা জেলা সম্পাদিকা। কম: অন্বেষা দাসগুপ্ত (DYFI)জেলা সদস্যা।

রনজিৎ ঘোষঃ- গোঘাট থানা কৃষক সমিতির অধীনে রঘুবাটি অঞ্চল কৃষক সমিতির ২৪ তম সম্মেলন আজ ১৮।১১।২৩ তারিখে মদিনার পুরাতন সিনেমা হলে (বুড়ি পুকুর) অনুষ্ঠিত হল।৩ টা ৩০ মিনিটে সংগঠনের রক্তপতাকা উত্তোলন করেন ভাস্কর রায়। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান ভাস্কর রায়,দীপক লাহা, মহঃ ইয়াসিন,মুক্তা রায়, জাকির হোসেন সহ রঘুবাটি অঞ্চলের নেতৃত্ব ও কর্মীগণ। সম্মেলন পরিচালনা করেন শক্তি রায়,ও অসীম খাঁ। শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন গুনধর মন্ডল। সম্মেলন উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন দীপক লাহা। মোট সাত জন প্রতিনিধি রিপোর্টের উপর আলোচনা করেন।সিটু ও মহিলা সমিতির পক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাকির হোসেন ও মুক্তা রায়। অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভাস্কর রায়। মোট ২২ জনের কমিটি নির্বাচিত হয়।৪৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন থেকে শক্তি রায়কে সভাপতি ও গুনধর মন্ডলকে সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।