জেলা

হুগলি বার্তাঃ –


চিন্তন নিউজ: ০২/১০/২০২৩:- পার্থ চ্যাটার্জীঃ-প্রবীণ নাগরিকদের অধিকার রক্ষার দাবিতে গণ সাক্ষর অভিযানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস —

সবুজের অভিযান, বড়বাজার এবং প্রবীণ নাগরিক অধিকার রক্ষা মঞ্চের যৌথ আহ্বানে আজ বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস উদযাপিত হল সবুজের অভিযানের মাঠে । পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ন’টা থেকে শুরু হয় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দাবি সম্বলিত একটি আবেদনপত্রে গণসাক্ষর সংগ্রহের মধ্য দিয়ে । রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে লিখিত এই আবেদনপত্রে উত্থাপিত হয়েছে মূলতঃ তিনটি বিষয় ।

প্রথমতঃ এই দাবি তোলা হয়েছে যে ই.পি.এফ পেনশন মাসে ন্যূনতম ৫০০০ টাকা করা হোক । বর্তমানে দেশে এই ই.পি.এফ পেনশন মাসিক ১০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা । বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এই সামান্য টাকায় কোন ব্যক্তির জীবনযাপন একেবারেই অসম্ভব । তাই ই.পি.এফ পেনশন সহ সকল ধরনের পেনশন ন্যূনতম ৫০০০ টাকা করা অত্যন্ত জরুরি ।

দ্বিতীয়তঃ সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে যে ভাবে বিদ্যুতের বিল বাড়ানো হচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক । এমতাবস্থায় আমরা এই দাবি জানিয়েছি যে সকল প্রবীণ নাগরিক এবং যাঁদের আয় মাসে দশ হাজার টাকার কম, তাঁদের প্রতি মাসে অন্ততঃ ১৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে সরবরাহ করা উচিৎ । একইসাথে স্মার্ট মিটার বসানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আমরা তারও তীব্র বিরোধিতা করছি ।

তৃতীয়তঃ আগে রেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকরা যে বিশেষ সুবিধা পেতেন এখন বেশ কিছু সময় ধরে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে । আমরা সেই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিও জানিয়েছি ।

এই সভায় বক্তব্য রাখেন সবুজের অভিযান, প্রবীণ নাগরিক অধিকার রক্ষা মঞ্চ এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ । সকলের বক্তব্যের সারাৎসার এবং আজকের সভার উদ্দেশ্য এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ব্যাখ্যা করেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ।

উপরোক্ত দাবি সম্বলিত এই আবেদনপত্রটিতে আজ প্রায় চারশো জনের মতো নাগরিক সাক্ষর প্রদান করেছেন । আবেদনপত্রটি আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি । এই ধরনের কিছু উদ্যোগ এর আগেও আমরা গ্রহণ করেছিলাম । কিন্তু, দুঃখের বিষয়, কাজের কাজ প্রায় কিছুই হয় নি ।

এই আবেদনপত্র যদি বিফলে যায়, আমাদের দাবি অনুযায়ী যদি কোন পরিবর্তনই না আনা হয়, সেক্ষেত্রে শাসক পরিবর্তন ছাড়া আর অন্য কোন বিকল্প সম্ভবতঃ সকলের হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে।

গুরুদাস ব্যানার্জীঃ-চিন্তন এর পক্ষে সংবাদদাতা গুরুদাস ব্যানার্জী :– সি আই টি ইউ হুগলী জেলার কাউন্সিল সদস্যদের নিয়ে সাংগাঠনিক কর্মশালা ব্যান্ডেল কুশারী লজ এ অনুষ্ঠিত হলো । সাংগাঠনিক কর্মশালা উদ্বোধন করেন সি আই টি ইউ সর্বভারতীয় ‌নেতা কমরেড দেবাঞ্জন চক্রবর্তী । রিপোর্ট পেশ করেন সম্পাদক তীর্থংকর রায় । সাংগাঠনিক পাঁচ টি বিষয় নিয়ে কর্মশালা সংগঠিত হয়। প্রতিনিধিরা পাঁচ টি ভাগে ভাগ হয়ে আলোচনা করেন। অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখার্জী। সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মলয় সরকার।

সোমনাথ ঘোষঃ-হরিপুর অঞ্চল কৃষক সমিতির সম্মেলন ৩৪ তম সম্মেলন পতাকা উত্তোলন ও শহীদ স্মরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ।
সম্মেলন এর উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন প্রাদেশিক কৃষক সভার সহ সভাপতি ও হুগলী জেলা কৃষক সভার সভাপতি কমরেড ভক্তরাম পান । উপস্থিত ছিলেন কমরেড সোমনাথ ঘোষ, কমরেড রত্না হাজরা, কম সন্তোষ ঘোষ, কম অমল মান্না ও কম লক্ষী মালিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করা প্রার্থীদের কৃষক সভার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কম রত্না হাজরা সভাপতি ও কম কার্তিক ঘোষকে সম্পাদক করে ২৫ জনের কমিটি ও ৯ জনের সম্পাদকমন্ডলী গঠন করা হয়।

রোহিত রায়ঃ-মানকুন্ডু তেলিনিপাড়া এরিয়া কমিটির অন্তর্গত বাবুবাজার কৃষ্ণপট্টী অঙ্কুর উন্নয়ন সমিতির ৩১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অঙ্কুর উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে কলকাতার রবীন্দ্রনাথ টেগ্যার ইন্টারনেশন্যাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক হাসপাতালের সহযোগিতায় বিনামূল্যে সাথ্য পরিক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয় এই শিবিরে ১০০ জজনের বেশি মানুষ তাঁদের অর্থপেডিক ও কার্ডিয়াক এবং ব্ল্যাড সুগার ও বোন ডেনসিটি ট্রেস ও ই সি জি করা হয়।

জয়দেব ঘোষঃ- আজ ২রা অক্টোবর ২০২৩ চুঁচুড়ার ‘কিশোর প্রগতি সংঘ’ গ্রন্থাগারের দ্বিতলের সভাঘরে প্রয়াত সাংসদ অনিল বসুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ‘সমকাল ও বিবৃতি’ পত্রিকা এবং ‘হুগলী-চুঁচুড়া বইমেলা’ কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারূপে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শিক্ষাবিষয়ক তাঁর মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখলেন ।

বাদশা দাসঃ-স্পর্ধার গোঘাট’…
আজ গোঘাটে আগামী ১০ ই অক্টোবর হুগলি জেলা এস‌এফ‌আই এর মহামিছিলের প্রস্তুতি সভা শেষে গোঘাট’ কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে পোস্টারিং।ছবিগুলো দেখে যতটা সহজ মনে হচ্ছে,ততটা সহজ নয়।আজ থেকে বছর কয়েক আগে এই বাসস্ট্যান্ডে পোস্টার মারা তো দূরের কথা,এস‌এফ‌আই এর নাম উচ্চারণ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তৃণমূলের জল্লাদবাহিনী।আজ সময় বদলেছে,পরিস্থিতি বদলেছে।তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরেছে,আর আমাদের কমরেডদের পায়ের তলার মাটি ধীরে ধীরে শক্ত হয়েছে।তাই তো আজ ইব্রাহিম,আদর, গিয়াসউদ্দিন,আসাদ,রাহুলরা শত হুমকি , আক্রমণ,চোখ রাঙানি কে উপেক্ষা করে বুক চিতিয়ে চোখে চোখ রেখে বললো “চলো দাদা,গোঘাট’ কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে পোস্টার মারবো।”ওদের স্পর্ধা শুধু আমাকে নয়, গোটা হুগলি জেলার এস‌এফ‌আই কমরেডদের বাড়তি অক্সিজেন জোগালো।আজকে ওদের স্পর্ধা ১০ অক্টোবর হুগলি জেলা এস‌এফ‌আই এর অধিকারের মহামিছিলকে সাফল্যের পথে এক ধাপ এগিয়ে দিলো। গোঘাট’এর সকল ছাত্র কমরেডদের সংগ্রামী অভিনন্দন ও লাল সেলাম জানাই।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।