জেলা

হুগলি বার্তাঃ-


চিন্তন নিউজঃ-১৪/১১/২০২২:– সুদীপ্ত সরকারঃ-“কত পেলে আর কত খেলে?” —- হিসাব চাই হিসাব দাও। গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও, বাংলা বাঁচাও আওয়াজ তুলে রাজবলহাট-১ অঞ্চল গণসংগঠন সমূহের পদযাত্রা আজ বিকাল ৪টায় নোড় পুকুর থেকে শুরু করে ৬টি বুথ ও প্রায় ৪ কি মি পথ অতিক্রম করে নোড় পুকুরে বিকাল ৫টায় শেষ হয়। পদযাত্রার সূচনা করেন সারা ভারত কৃষক সভার রাজবলহাট-১ অঞ্চল কমিটির সম্পাদক ও জাঙ্গীপাড়া থানা কমিটির সদস্য যজ্ঞেশ্বর নন্দী। উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ লস্কর, সুদীপ্ত সরকার, রওসন মল্লিক,অমিতাভ ব্যানার্জী, কাশীনাথ হাজরা, দিপালী বসু, সুদীপ্ত ঘোষ, মনোরঞ্জন মালিক, হরপ্রসাদ সিংহরায়, সামশুল আরেফিন, তপন রায়, মানস চ্যাটার্জী, রাজকুমার ঘোষ, গণেশপাল, অজিতঘোষ, আব্দুল হক, অনূপ পাত্র, নারায়ণ কোলে, গুঞ্জরা মালিক, সমরেন্দ্র নাথ জানা, পলাশ কোঙার, অরিজিৎ বাগ,চম্পা রায়, গোবিন্দ বাগুই সহ গণসংগঠনসমূহের নেতৃত্ববৃন্দ। বিগত কয়েক মাস ধরে শাষক দলের গুন্ডাবাহিনীর অঞ্চল জুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দান, লাগাতার হুমকী, চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে আজকের প্রাণবন্ত এবং লাল ঝাণ্ডায় মোড়া, মানুষের জীবন জীবিকার সমস্যা নিয়ে শ্লোগানে মুখরিত সুসজ্জিত পদযাত্রা ঘিরে মানুষের আগ্রহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত।

গোপাল চাকীঃ-গতকাল, পঃ বঃ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের হুগলী জেলা সম্মেলন থেকে জেলা কমিটির সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের বইমেলার অন্যতম সহঃসভানেত্রী দেবী গাঙ্গুলী ৷ জেলা সম্পাদকমন্ডলীতে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সমকাল ও বিবৃতি পত্রিকার সম্পাদক, বইমেলার অন্যতম সহঃসম্পাদক ও কবি অরিত্র শীল ৷ জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের বইমেলার কার্য্যকরী সমিতির অন্যতম সদস্য শুভেন্দু মুখার্জী ৷ এদের সহ নবনির্বাচিত জেলা কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শিবানী দাশগুপ্তঃ-সারা ভারত গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতি র ২৯ তম রাজ্য সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জেলা শহর চন্দননগরে । এই সন্মেলনে উপলক্ষে এক রক্তদান কর্মসূচি ও অনুষ্ঠিত হয় । মোট তেত্রিশ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।

তাতাই মুখার্জিঃ-রনিত, হরিপালের ছোট্ট রনিত
মামারবাড়ি এসেছিল ঘুরতে, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে দিদা মিছিলে যাচ্ছে। আর সেটা দেখে রনিত-এরও শখ হলো সেও দিদার সাথে মিছিলে যাবে। তাকে আটকায় কার সাধ্য?

ছোট্ট ছেলেটা শক্ত করে দিদার হাত ধরে আজ সারাদিনে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়েছে। মাথায় কাস্তে হাতুড়ি আঁকা টুপিটা ছিল সবসময়ের সঙ্গী। যখন পা ব্যথা হচ্ছিল, টোটোয় উঠে পড়ছিল, আবার কখনও হাঁটছিল সবার সাথে। রাস্তার দুপাশের সবার নজর ছিল ওর দিকে, এই ছোট্ট কমরেডের দিকে। মিছিল শেষে সবার সাথে মাটির ওপর চট পেতে বসে সামান্য একটু ডাল-ভাত খেলো ছেলেটা। যখন ওর একটা ছবি তোলা হচ্ছিল তখন পাতের শেষ ভাতটুকু খেতে খেতে বললো “আমার নাম রনিত।”

সৌরভ গাঙ্গুলিঃ–তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড়পুর অঞ্চলের পদযাত্রা।
গ্রাম জাগাও,চোর তাড়াও, বাংলা বাঁচাও।
পাঁচগেছিয়া থেকে পিয়াসাড়া পর্যন্ত পদযাত্রা।
সরকারকে কুইন্ট্যাল প্রতি ২৮০০ টাকা দরে ধান কিনতে হবে।

১০০দিনের কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে।স্বল্পমূল্যে কৃষককে সার ও বীজ সরবরাহ করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ চাই।
চোর ধরো, জেল ভরো।

স্নেহাশীষ রায়ঃ-গ্রাম জাগাও – বাংলা বাঁচাও বামপন্হী গণসংগঠন সমূহের উদ্যোগে তৃণমূলের সন্ত্রাস কবলিত এলাকা তারকেশ্বরের রামনগর অঞ্চলের ৮ টি বুথে ৭কিমি পদযাত্রা হয়। এই পদযাত্রায় নেতৃত্ব হিসাবে উপস্হিত ছিলেন ভক্তরাম পান, গণেশ মান্ডী, তন্ময় জানা, মুকুল ঘোষ, বিজয় জানা,নিখিল ঘোড়ুই, গোপীনাথ পাল, সুজাতা ঘোড়ুই,অরুণ ঘোষ, পান্না গায়েন,ভ্রমর কয়ড়া,সুভাষ পাল,আজিজুল মল্লিক,তপন মন্ডল,দীনেশ ঘোড়ুই, শ্রীমন্ত জানা প্রমুখ।

সোমনাথ ঘোষঃ-গরীব খেটে খাওয়া মানুষ জাগছে লুটেরা তৃণমূল, বিজেপি হুঁশিয়ার ।
গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও ও বাংলা বাঁচাও এই কর্মসূচিতে পঞ্চায়েতে কত পেলে, কত খেলে! হিসাব চাই, হিসাব দাও এই দাবীতে চন্ডীতলা ১ এরিয়া কমিটির শিয়াখালা পঞ্চায়েত এলাকার দক্ষিণ শিয়াখালা, গড়েরবাবা ও পশ্চিম তাজপুরের ৬ টি বুথে পদযাত্রা হলো।
গ্রামে গ্রামে মা বোনেরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পদযাত্রীদের স্বাগত জানান। মহিলাদের উপস্থিতি ভালো ছিল।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।