জেলা

হুগলি জেলার খবর


চিন্তন নিউজ:- ১৪ই জানুয়ারি:–বিশেষ সংবাদদাতা::- ১৩ ই জানুয়ারি জনবিরোধী কৃষি আইন এর প্রতিবাদ এ সিপিআইএম এর নিরদগড় কাজীমহলা শাখার পাঁচটি বুথ এলাকায় বিধায়ক আমজাদ হোসেন এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও কৃষিবিল পোড়ানো হয়।।

এদিকে কমরেড জয়দেব ঘোষের খবর অনুযায়ী আজ বাম পরিষদীয় দলনেতা কমরেড সুজন চক্রবর্তীর সাথে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে বিধানসভায় সমিতির নেতৃত্ব। উপস্থিত আছেন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি র রাজ্য সভাপতি কমরেড দেবাশীষ দত্ত,রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহনদাস পন্ডিত ,প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কমরেড সমর চক্রবর্তী , আব্দুল মোহিদ মোল্লা ,পীনাক রায়।

হুগলি র চাঁপা ডাঙা তে “”নবান্ন চলো”‘ নিয়ে চলছে দেওয়াল লিখন।।

কমরেড শিবপ্রসাদ ব্যানার্জ্জী – চন্দননগর সি পি আই (এম) এর বিধায়ক, আর একটি পরিচয় এস‌এফ‌আই ও ডিওয়াইএফ‌আই এর প্রথমে আঞ্চলিক সেখান থেকে জেলা সেখান থেকে রাজ্য কমিটির সদস্য বর্তমানে হুগলী জেলা কমিটির সদস্য।শরীরে অসুস্থ কিন্তু মননে ও চিন্তনে এখনও লড়াইয়ের ময়দানে। বই ছিলো তাঁর নেশা ,এখন আর চোখের অসুবিধা র জন্য তেমন পড়তে পারেন না—— না ইনি কোনো অসাধু ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা বা সুযোগ নেননি, চাকরির সাথে সাথে ব্যবসা করেন নি বিলাসী জীবন কাটানোর জন্য —– নিজের স্ত্রীর চাকরির সুযোগ আসা সত্ত্বেও উপদেশ দিয়েছেন পার্টিকে সময় দেওয়ার, তার স্ত্রীও নিজের ওয়ার্ডের পৌর সভার তিনবার নির্বাচিত সদস্যা, পয়সা আর ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে যাকে কখনো বাহিনী গড়তে হয়নি – সততার বিজ্ঞাপন যাকে দিতে হয় না।

হুগলি জেলা থেকে কমরেড সোমনাথ ঘোষ কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দিল্লি গিয়েছেন , সেখান থেকে তিনি জানিয়েছেন স্বগিতাদেশ নয়, যেখানে তৈরী হয়েছে সেখানেই আইন বাতিল করতে হবে, এই দাবীতে দিল্লি রাজস্থান সীমান্তের সাঁজাপুরে কৃষক অবস্থানে বক্তব্য রাখেন কমরেড অমল হালদার কমরেড ভক্তরাম পান কমরেড অমরা রাম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ।

আজ বাঁশবেড়িয়া শ্রমিক মেলায় বিক্ষোভ এর আগে হুগলী জেলার সি আই টি ইউর সভাপতি কমঃ মলয় সরকার বক্তব্য রাখছেন এবং শ্রমিক মেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ডেপুটেশন দিল নির্মাণ কর্মী ইউনিয়ন সহ সিটু জেলা কমিটি।।

হুগলী জেলার কৃষক ও গণ- আন্দোলনের প্রবীণ নেতা কমরেড শশাঙ্ক কুন্ডু জাঙ্গীপাড়া থানার মুন্ডলিকার কোদালপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে গতকাল ইং-১২ই জানুয়ারী’২০২১ মঙ্গলবার তাং সন্ধ্যা ৭-৪০ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত নানাবিধ অসুখে তিনি ভুগছিলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি সি.পি.আই.(এম) এর সদস্যপদ লাভ করেন।সি.পি.আই.(এম.) এর তৎকালীন জাঙ্গীপাড়া জোনাল কমিটির প্রাক্তন এই সদ্স্য দীর্ঘদিন জাঙ্গীপাড়া থানা কৃষক সমিতির প্রথমে সম্পাদক,পরে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।হুগলী জেলা কৃষক আন্দোলনের প্রবীণ এই নেতা ছিলেন জেলা কৃষক সভার প্রাক্তন সহ-সম্পাদক।ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রথমদিকে তিনি পরপর দুবার মুন্ডলিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। পেশাগতভাবে তিনি প্রথমে গুটি হাইস্কুল ও পরে জগৎবল্লভপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। প্রবীণ নেতার মৃত্যসংবাদ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পার্টি,গণসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বহু সাধারণ মানুষ তাঁর বাড়িতে এসে শেষশ্রদ্ধা জানান। আজ সকাল ১০-৩০টায় প্রয়াত নেতার মরদেহ নিয়ে শোক মিছিল কোদালপুর শিবতলা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৩ কি.মি.পথ অতিক্রম করে মুন্ডলিকা বাজার পরিক্রমা শেষে সি.পি.আই.(এম.)এর মুন্ডলিকা অফিসে পৌঁছায়।এখানে মাল্যদান করে শেষশ্রদ্ধা জানান জেলা পার্টির পক্ষে হরপ্রসাদ সিংহ রায়,স্বপন বটব্যাল।
পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য সুদর্শন রায় চৌধুরী,জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ ও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জয়দেব চ্যাটার্জ্জী’র পক্ষেও মাল্যদান করা হয়।মাল্যদান করেন জেলা কৃষক সভার পক্ষে রঘুনাথ ঘোষ,পবিত্র সিংহ রায়। জেলা সম্পাদক ভক্তরাম পান এর পক্ষেও মাল্যদান করা হয়।এছাড়াও বাড়িতে ও পার্টি অফিসে এসে শ্রদ্ধা জানান শ্যামল পালধী,সুদীপ্ত সরকার,মাহবুবার রহমান,মুন্সী আব্দুস সাত্তার,অজিত ঘোষ,সামশুল আরেফিন,কাশীনাথ হাজরা,সুদীপ্ত ঘোষ,নারায়ণ কোলে সহ পার্টি ও গণ সংগঠনের অসংখ্য নেতৃত্ব-কর্মী-সমর্থকবৃন্দ।তাঁর পরিবারের পক্ষে জগন্নাথ কুন্ডু,দিবাকর কুন্ডু সহ অন্যান্যরা মাল্যদান করেন।
শেষশ্রদ্ধা নিবেদনের পর গ্রামের স্থানীয় শ্মশানে তাঁর মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।