রাজ্য

রাজভবনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৩ জুন: প্রায় এগারো বছর পর রাজ্যপালের আহ্বানে আজ সর্বদলীয় বৈঠক। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ বার এমন সভা হয়েছিল। ১১ বছর পর আবার। কিন্তু বিষয় ভিন্ন। সেবার ছিল শিল্প নিয়ে, সিঙ্গুরের ভবিষ্যৎ নিয়ে। মানুষের কাজ পাবার আশা জোগাতে ছিল সেবারের বৈঠক। আর এবারের বিষয় হল রাজ্যে আইনের শাসনের দূর্দশা।
সেবার আলোচনার বিষয় ছিল যুবকদের কাজ পাওয়া, গরিবের স্বার্থ, আর এবারের আলোচ্য মানুষের নিরাপত্তা। সেবার ছিল সিঙ্গুরে কারখানাটা যাতে হতে পারে এই নিয়ে। হুগলী তথা রাজ্যের যাতে উন্নতি হয়।
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক হবে রাজভবনে বিকেল চারটেয়। লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যে প্রায় কুড়ি জন রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে সি.পি.আই.এম. এর পাচ জন শহীদ হয়েছেন। প্রত্যেকে শাসক দলের আক্রমণের শিকার। রাজ্যে এখন সবথেকে বড় সমস্যা তৃনমুল আর বিজেপির হাঙ্গামা। সন্দেশখালিতে নিহত চারজন। বিপন্ন সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শান্তি ফেরাতে তো পারেনই নি, উলটে তার ভাষনে উস্কানি বেড়েছে। যেভাবে রাস্তাতে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল তুলে হুমকি দিয়েছেন উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন করে ছেড়েছেন যে নিজের দলের বিধায়করাই এবার নিরাপত্তা চাইছে। তার নিজের দলের বিধায়করা ঘরছাড়া কোচবিহারে।
রাজ্য পুলিশ যারা শাসক দলের কথাতে উঠে বসে আজ তারাও আক্রান্ত। কেউ নিরাপদে নেই এ রাজ্যে। চিকিৎসকরা নেই নিরাপদে। এন.আর.এস এর ঘটনায় মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। তরুন ডাক্তারের মাথা ফেটে গেছে জনগনের মারের চোটে। এদিকে সবচাইতে মজার ব্যাপার মমতা ব্যানার্জী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী। প্রতিটা ঘটনা তার চূড়ান্ত ব্যর্থতা প্রমান করছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।