দেশ

সিএএ নিয়ে বিতর্কে উত্তাল ইতিহাস কংগ্রেসে প্রতিবাদের মুখে কেরলের রাজ‍্যপাল।।


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৩০শে ডিসেম্বর:–বামশাসিত রাজ‍্য কেরলের কুন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস কংগ্রেসে পরিকল্পিত ভাবে সিএএ নিয়ে প্রচারের চেষ্টা করেন কেরলের রাজ‍্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। এই ইতিহাস কংগ্রেসকে, ইতিহাস সম্পর্কে বিবিধ চিন্তাভাবনা, গবেষণা ,আলোচনা ,বিতর্ক ও মত বিনিময়ের তীর্থক্ষেত্র বলে মনে করা হয়।

দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্ক এবং স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ সারা দেশ।এইরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে বক্তব্যের বিষয় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল অনেক চিন্তাভাবনা করেই।কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয় ক‍্যাম্পাসকেই এবার বেছে নেওয়া হয়েছিল ৮০তম ইতিহাস কংগ্রেস এর জন‍্যে।সভাপতি হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ‍্যাপক অমিয় বাগচিও কার্যকরী সভাপতি হিসেবে ছিলেন ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব।।বক্তব্য রাখেন কান্নুরের সাংসদ কে কে রাগেশ। রাজ‍্যপাল মহম্মদ আরিফ খান উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করতে উঠে নয়া নাগরিকত্ব আইন, নাগরিক পঞ্জি ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই উপস্থিত প্রতিনিধিরা পোস্টার তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।তাঁর নির্দেশে পুলিশ পাঁচ জনকে  গ্রেফতার করে। তারা জামিয়ামিলিয়া ও জেএনইউ এর ছাত্রছাত্রী।একই সঙ্গে রাজ‍্যপালের  বক্তৃতার মাঝেই প্রতিবাদে সরব হন অধ‍্যাপক ইরফান হাবিব। তিনি বলতে থাকেন ,দমনের কারনেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ইতিহাসবিদদের অনেকেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশি নিপীড়ন, জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত‍্যাহার ,সিএএ আইন পাশের প্রতিবাদে সরব হন তিনি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেওয়া অধ‍্যাপক গবেষকরা  প্রতিবাদে সরব হন।’গো ব‍্যাক’ স্লোগান ওঠে।রাজ‍্যপাল তাঁর বক্তৃতায় গান্ধীজি, আবুল কালাম আজাদ ও নেহেরুর  সুবিধা জনক অংশ উদ্ধৃতি দেওয়ায় অধ‍্যাপক হাবিব তাঁকে নাথুরাম গডসের থেকেও উদ্ধৃতি দিতে বলেন। এই অবস্থায় মঞ্চ ছাড়েন রাজ‍্যপাল।

ইতিহাস কংগ্রেসের সামনের সারির প্রতিনিধি বর্গ ,রোমিলা থাপার ,ইরফান হাবিবের মতো ঐতিহাসিকরা চীরকালই সঙ্ঘ প্রবর্তিত ইতিহাসের বিরোধী, যা ইতিহাসের গৈরিকীকরণের কলঙ্কিত অধ‍্যায়।ইতিহাসবিদরা বলেন বহুত্ববাদই ভারতীয় সংস্কৃতির মূল ভিত্তি।কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে তাকে অস্বীকার করা যায়না।আরও একটা কথা না বললে অন‍্যায় হবে যে বিজ্ঞান কংগ্রেস এ প্রতিনিধি রা যেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনৃতভাষন নীরবে হজম করেছে সেখানে শিরদাঁড়া সোজা রেখে ইতিহাস কংগ্রেস দেখিয়ে দিলো এভাবেও প্রতিবাদ করা যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।