দেশ

গেহলট – শচীন বিরোধ! রাজস্থানের রাজ্য রাজনীতিতে অস্থিরতা


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১৩ই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট আজ নিজ বাসভবনে কংগ্রেস লেজিসলেটিভ দলের সভা আহ্বান করেছেন। সূত্রের খবর ঐ সভায় অংশগ্রহণ করছেন না উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট।

শচীন পাইলটের ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গেছে ৩০ জনেরও বেশি বিধায়ক শচীন পাইলটকে সমর্থন করায় গেহলটের সরকার এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। গেহলট ও তাঁর সহকারী শচীন পাইলটের বিরোধ রাজ্য রাজনীতিতে এক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। একদিকে গেহলট বিজেপিকে দোষী সাব্যস্ত করছেন রাজ্যে বিধায়ক কেনাবেচার মদত দিকে অন্যদিকে অস্থিরতা নিজের দলের মধ্যেই। পাইলট শিবির দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে নিজ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য। সূত্রমতে পাইলট দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে চেয়েছিলেন তবে এখনও তাঁকে কোনো সময় দেওয়া হয় নি। পাইলট দলের অন্য এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর অভিযোগ জানান।

পাইলটের সমর্থনকারীরা অশোক গেহলটের সঙ্গে কাজ করতে তাঁদের অক্ষমতার কথা জানান, বর্তমানে তাঁরা দিল্লিতে। সূত্র বলছে উপমুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে অনেক কংগ্রেস বিধায়ক ছাড়াও অন্য অনেক বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। গেহলট এবং পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ পিসিসি প্রধানের পদ নিয়েও চলছে কারণ গেহলট শিবির চায় ‘ওয়ন লিডার ওয়ান পোস্ট’ সূত্র রাজস্থানের রাজনীতিতে প্রয়োগ করতে। এখন শচীন পাইলট উপমুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি পিসিসির নেতৃত্বে আছেন। পাইলটের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে যুবনেতা তাঁকে দেওয়া এসওজি নোটিশ দেখে অসন্তুষ্ট। তাঁর বিশ্বাস ফোন কলগুলো রেকর্ড করা হচ্ছে এবং নজরদারি চালানো হচ্ছে তাঁর ওপর।

পাইলটের সহকারীরা বারংবার গেহলটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। প্রাক্তন সহকর্মী ও বর্তমানে বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী গেহলটের একপেশে ও অন্যায় আচরণের শিকার। তিনি আরও জানান,”আমার পূর্বতন সহকর্মী শচীন পাইলটের প্রতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অন্যায় আচরণ দেখে দুঃখ হচ্ছে। কংগ্রেস দলে প্রতিভা ও বিশ্বাসযগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না।” এই সেই সিন্ধিয়া যিনি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য মার্চ মাসে কংগ্রেস ত্যাগ করেন।

ক্ষমতার দম্ভ এবং ক্ষমতার সঙ্গে থাকার জন্য নরম ও চরমপন্থী দুটি দক্ষিণপন্থী দলের সংঘাত বর্তমানে রাজস্থানের রাজনীতির রোজনামচা। লোভ ও ক্ষমতা দেখানোর প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সংঘর্ষ এখন মুখ্য বিষয়। এমনিতেই কোভিড মোকাবিলায় লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতি তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল যেখানে প্রকাশ্যে মদত দিচ্ছে বিজেপির কর্তাব্যক্তিরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।