শাশ্বতী ঘোষাল, চিন্তন নিউজ, ১৮ মে: সপ্তম দফা ভোটের পূর্ব মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন যেমন অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে, শাসকদল তৃণমূল ও তেমনি অত্যন্ত কঠোর ভাবে সর্বত্র নজরদারি চালাতে চাইছে। তাদের অভিযোগ বিজেপি টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনে তাদের পরাজিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই বিভিন্ন জায়গায় টাকা ও অস্ত্রশস্ত্র পাচার করছে বিজেপি। এ চেষ্টা যাতে কোনোভাবেই ফলপ্রসূ না হয় তাই সর্বত্র গাড়ি আটকে জোর তল্লাশি চালাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার (১৫/০৫/২০১৯)রাত দশটা পনেরো নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হাসপাতাল থেকে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ি থামানো হয়। চারজন সরকারী কর্মচারী তাঁর গাড়ি তল্লাশী করতে চান। বিচারপতির দেহরক্ষী তাঁর পরিচয় দিলেও রেহাই মেলেনি। ঐ চার কর্মী জানান যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই তারা কাজ করছে। তারা গাড়ির ডিকি খুলে তল্লাশী চালায়।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি ফিরে গিয়ে রাতেই হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে ফোন করে সব জানান। বিচারপতি আরো জানান, যারা তল্লাশি চালিয়েছে তারা পুলিসের পোশাক পরিহিত ছিলেন না। পরনে জিনস ও মাথায় টুপি ছিল তাদের।
হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল বলেন, খোঁজ নিতে জানা যায় যে ঐ চারজন বিধাননগরের মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের কর্মী। তিনি তাদের ডেকে পাঠান এবং বিচারপতির কাছে নিয়ে যান।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে যে ঐ চার কর্মী তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন ভুল তারা আর করবেন না।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/05/IMG-20190518-WA0007-1080x642.jpg)