রাজ্য

গত অর্থবছরের টাকার হিসেব দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৩ই নভেম্বর:–গত অর্থবছরের টাকার হিসেব দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। আটমাস পরেও গত বছরের টাকার হিসেব এখনও নেই। বেশ কয়েকটি দপ্তর এ চিঠি গিয়েছে হিসাব চেয়ে তারমধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও আছে। কিন্তু আগের অর্থবছরের খরচ না হ ওয়া টাকা ফেরত আসেনি। একরকম বাধ্য হয়ে ফের চিঠি দিয়ে টাকা ফেরত চেয়েছে অর্থ দপ্তর। বুলবুলের তান্ডবে একেই জনজীবন বিপর্যস্ত কিন্তু তার আগেও এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে।।। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কোন বার পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেখা যায় নি কন্ট্রোল রুমে।। এবার তিনি কন্ট্রোল রুমে বসেছিলেন আর তার সাথে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান।।

যখন মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা কাজের তদারকি করছেন ঠিক সেই সময় অর্থ দপ্তরের চিঠি পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে। শুধু এই দপ্তরই নয় আরো কয়েকটি দপ্তরে চিঠি গেছে খরচ না হওয়া টাকা ফেরত চেয়ে।। চিঠি যে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খরচ না হওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।। চলতি আর্থিক শেষ হতে এখনও চার মাস বাকি।।। কাজেই এই আর্থিক বছরের টাকা ফেরত চাইছে না। চাইছে যেটা সেটা হলো ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষের একটা অংশের টাকা খরচ করতে পারে নি এখন সেটাই ফেরত চাইছে অর্থ দপ্তর।

প্রসঙ্গত আগেও অমিত মিত্রের দপ্তর থেকে টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু আদৌ কোনো কাজ হয়নি।।এর আগে বিভিন্ন দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে উন্নয়ন খাতের কত টাকা পড়ে আছে তার হিসাব দিতে।। কারণ তখন সামনে বাজেট ছিল।। বাজেট পেশ করতে গেলে আগের আর্থিক বছরের হিসাব প্রয়োজন।। যদি ব্যায়ের হিসাব পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় তবে পরবর্তী আর্থিক বছরের হিসাব পেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে।। কিন্তু হিসেব না দেওয়ার ফলে নজিরবিহীন ভাবে বাজেট পেশ করেছিল তৃনমুল কঙগ্রেস সরকার।। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন “”ইন্টিগ্রেটেড কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম “” আওতায় তটভূমি এলাকায় আশ্রয় শিবির তৈরি করা, উন্নয়ন এর জন্য নানারকম কাজ করা।। এই প্রকল্পের ৭৭শতাংশ টাকা বিশ্বব্যাংক দেয়/১৩ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।। বাকি ১০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার।।

২০০৯-১০ সালে আয়লার পর এই কাজ শুরু হয়েছে।। তবে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে পাঁচ টি ব্লকে ২৫ টি শেল্টার বানিয়েছে।। কিছু স্কুল বানানো হয়েছে ।। তবে এই দপ্তর কে যে টাকা দেওয়া হয়েছে , তার সব টাকা খরচ হয়নি।। এই হিসেব টাই চাইছে অর্থ দপ্তর_।তবে হিসাব যে দেবে তার আশা খুব ক্ষীণ বলেই অর্থদপ্তর এর আধিকারিকরা মনে করছেন।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।