রাজ্য

কপর্দক শূন্য রাজ্যের কৃষক পরিবারগুলো, সব্জির দাম না পেয়ে, হাটেই ফেলে যেতে বাধ্য হ’ল কৃষক।


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ: ২০এপ্রিলঃ- ধূপগুড়ি কৃষি নিয়ন্ত্রিত বাজারে ফেলে দেওয়া সব্জির পাহাড় জমছে।একই অবস্থ প্রতিদিন জেলার অনান্য হাট বাজারেও হচ্ছে। সোমবার ময়নাগুড়ির রাজার হাট গ্রামের হাটে দেখা গেল কৃষক মন মন উচ্ছে টমেটো অনান্য সব্জি রাস্তার উপর ঢেলে চলে যাচ্ছেন।

লক ডাউনের জেরে চরম সংকটে কৃষক ও কৃষি নির্ভর মানুষ। প্রতিদিন জমি থেকে সব্জি না তুলে আনলে জমিতেই তা নষ্ট হয়ে যাবে আবার তুলে বাজারে নিয়ে গেলে ক্রেতা নেই যা দু’চারজন আসেন যে দামে ক্রয় করতে চান তাতে ভ্যান রিক্সা ভাড়াও হয় না। বাধ্য হয়ে চোখের জল আর ফসল হাট বাজারে ফেলে চলে যাচ্ছেন কৃষক। এই চিত্র এখন প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলার সব গ্রামীণ হাটে বাজারে। বড় বড় চাল কুমড়ো যা অন্য দিন দশ টাকা প্রতি টি বিক্রি হতো, এখন পঞ্চাশ পয়সা দর তাও ক্রেতার অভাব। লাউ একেকটি পনেরো কুড়ি টাকা ছিল এখন দু টাকার বেশি দাম নেই। উচ্ছে টমেটো প্রতি কেজি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ পয়সা প্রতি কিলো। লংকা প্রতি কেজি আট থেকে দশ টাকা কেজি আগে যা সত্তর থেকে আশি টাকা ছিল। এই রকম দাম তাও হাটে বাজারে যে পরিমান আমদানি হচ্ছে তার সিকি অংশ কেনার পাইকার নেই ফলে সব ফেলে দিতে হচ্ছে। স্থানীয় দু’ চার জন পাইকার এদিন প্রথম বাজারে উচ্ছে টমেটো এক টাকা দরে কিনতে শুরু করে এর পর ওজন ছাড়াই ভ্যান রিকশাতে যে পরিমান সব্জি আছে সব গুলির দাম প্রতি ভ্যান একশ টাকা ধরে। তবুও অনেক কৃষকের ফসল অবিক্রিত থেকে যায়।

উপস্থিত পাইকারদের সবাই চাপ দিতে থাকে সকলের ফসল কিনে নিতে যা অবাস্তব হয়ে দেখা দেয়। কিছু সময় উত্তেজনা ছিল হাটে৷ এর পর সবাই সব্জি রাস্তায় ফেলে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়। এমন অবস্থা কয়েকমন সব্জি এনেও এক কাপ৷ চা কেনার অবস্থায় নেই অনেকে।

সারাভারত কৃষক সভার জেলা সভাপতি প্রান গোপাল ভাওয়াল বলেন জেলার কয়েক লক্ষ কৃষক চরম দুরাবস্থার মধ্যে আছে যেটা আগামি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাজে বিরাট প্রভাব ফেলবে।খাদ্য সংকট দেখা দেবে। কৃষক সভার পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছে ফসলের দাম নির্ধারণ করতে হবে, পাইকার সহ অনান্য ক্রেতাদের আসার ব্যবস্থা করতে হবে।কৃষকের এই চরম দুর্দিনে সরকার পাশে নেই কৃষক রক্ষার উদ্যোগ পরিকল্পনা কিছুই নেই।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।