শান্তনু বোসঃ- চিন্তন নিউজঃ- ২৮/৩/২০২২
-আজ সারাদিন ধরে মনটা ছিল পশ্চিমবঙ্গে। ঘনঘন ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ দেখেছি। দেশজুড়ে দুদিনের ধর্মঘট কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের সব রাস্তাই ছিল লাল ঝান্ডার দখলে। মানুষের নিরব সমর্থন ক্রমশ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের আকার নিলো। দিনের শেষে দুটি ঘটনা আমার কাছে বেশ তাৎপর্য পূর্ণ মনে হয়েছে। সকালেই খবর পেলাম, আমাদের এড়িয়া কমিটির সম্পাদক হারুদা এবং শ্রমিক নেতা শিবাজী মিত্র আক্রান্ত হয়েছে। কড়া জবাব দিয়েছে এলাকার নেতৃত্ব এবং কর্মীরা। বেলায় খবর পেলাম বিধানসভায় আমাদের বিধায়ক রক্তাক্ত হয়েছেন তাঁরই একদা সহকর্মী বর্তমান বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে।
স্মৃতি তো বাঁধ মানে না। কিছুক্ষণের জন্য ফিরে গেলো ২০১২ সালে। এই শুভেন্দু অধিকারীদের হাতেই নিগৃহীত হয়েছিলেন বিধানসভার বামপন্থী সদস্য এবং সদস্যা গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী এবং দেবলিনা হেমব্রম।
রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়ার সময়ে কিছু মানুষের শিক্ষা এবং সান্নিধ্য পেয়েছি যে শিক্ষা এবং সান্নিধ্য আমাকে শিখিয়েছে, রাজনীতি মানে রাজার নীতি নয়। রাজনীতি মানে নীতির রাজা। আজকের দু’টি হিংসাত্মক আক্রমণের ঘটনা আমাকে শেখালো নীতি হীন রাজনীতি আসলে যেটার জন্ম দেয় সেটাকে বলে অশিক্ষিত, বর্বর, পরিযায়ী রাজনৈতিক কর্মী। যে রাজনীতি শুভেন্দু অধিকারীদের তৈরি করে, সেই রাজনীতি শুভেন্দু অধিকারীদের হাতেই আক্রান্ত হয়। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমনের অভিমুখ ছিল বামপন্থীদের দিকে। আজ বদলে গিয়ে তার জন্মদাতাদেরই আক্রমন করছে। এটাই দিতে পারে নীতি হীন ক্ষমতার রাজনীতি। আজকে হারুদা এবং শিবাজীদাকে আক্রমন করার জন্যে যাদের তৈরি করেছেন, তাদের হাতের লাঠির অভিমুখ গুলোও কিন্তু বদলাবে। বদলাতে বাধ্য, কারণ তাঁদের তো রাজনীতিটা দিতে পারেননি। যেটা দিয়েছেন, সেটা তো ফেরত পেতেই হবে। শুভেন্দু অধিকারী সেটার প্রমান দিলেন।
ধর্মঘট সফল হয়েছে। কারণ, ধর্মঘটের ইস্যু গুলো মানুষকে ছুঁয়েছে। লাল ঝান্ডায় ভির বাড়ছে। কড়ায়গণ্ডায় সব ফেরত পেতে হবে। আজকের রাজপথ গুলো জানান দিলো—-
“আর ক’টাদিন সবুর করো সর্ষে বুনেছি”।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2022/03/IMG-20220328-WA0181.jpg)