চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১৫ই আগস্ট:–পূজো কমিটির আন্দোলনের পথে বেনিয়মে মদত মমতার।।
কাশ্মীর ইসুতে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ না খোলার জন্যে তাঁর অনুগামীদের রীতিমতো টুইট করে সতর্ক করে ঐ ইসুকে সন্তর্পণে পাশ কাটিয়ে জনগণের নজর অন্য দিকে ঘোরাবার উদ্দেশ্যে ,দুর্গা পূজায় আয়কর দপ্তরের নোটিশ নিয়ে পূজো কমিটি গুলোকে আন্দোলনে ও বিদ্রোহের নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পূজোকমিটি গুলোকে আয়কর দেবার নোটিশ পাঠানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর এইসব পূজোকমিটি গুলো কে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলো তৃনমূল এর বঙ্গজননী ও মহিলা শাখা।কোনো ভাবেই পূজা কমিটি গুলোর উপর ধার্যকরা কর মেনে নেওয়া যাবেনা বলে হুঁশিয়ারি দিলো তৃনমূল নেতৃত্ব।মমতা এই আয়কর কাটাকে টেরিবল ডিজাস্টার স্কিম(ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক প্রকল্প ) টি ডি এস বলে সম্বোধন করেন।এতে সামিল ছিলেন তৃনমূল এর অনেক নেতৃ বিধায়ক।তাঁর মতে বিশ্বের দরবারে দুর্গা পূজো স্থান পাওয়ায় কেন্দ্র ষড়যন্ত্র করে পূজোকমিটি গুলোকে নোটিশ পাঠিয়ে ভয় দেখাতে চাইছে যা একটি প্রতিহিংসা মূলক আচরণ।
পূজোয় আয়কর বসানোর সত্যতা নিয়ে আয়কর দপ্তরের কমিশনার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অবাস্তব।পূজোর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কনট্রাকটর বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে আয়কর বাকী রাখায়১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩৩ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয় হাতেগোনা কয়েকটি নির্দিষ্ট পূজোকমিটি কে।বকেয়া টিডিএস আদায়ের কারনে ই এই নোটিশ।
প্রকৃতপক্ষে বিজেপি যেভাবে পূজোকমিটি গুলো র উপর প্রভাব বিস্তার করছে তাতে কমিটি গুলি র সমর্থন আদায়ের জন্যেই মমতার এই পদক্ষেপ।
প্রকৃতপক্ষে ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পর আইডি ইডি একযোগে কলকাতার একাধিক জায়গায় তদন্ত চালিয়ে বহু ভূয়ো সংস্থা ,যাদের মাধ্যমে টাকা পাচার হয়ছিল, এর সন্ধান পায়।এই সব ভূয়ো সংস্থা গুলি র পিছনে কোনো না কোনো তৃনমূল নেতার মদত রয়েছে।কোটি কোটি টাকার বিপুল আয়ের গরমিলে আশঙ্কিত হয়েই তৃনমূল নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।এই কারণেই দুর্গা পূজো নিয়ে বাঙালির আবেগকে শিখন্ডি খাঁড়া করা হয়েছে।