রাজ্য

সকল শ্রমিকের দাবি, শ্রমিকের স্বর একসাথে মিলুক লংমার্চে।।


চৈতালী নন্দী : চিন্তন নিউজ: ৭ই নভেম্বর:- জোট বাঁধো তৈরী হও , যুদ্ধ নয় তোলো আওয়াজ …..হ‍্যাঁ যুদ্ধ, এ এক অসম যুদ্ধ,রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরনের বিরুদ্ধে, দেশের শ্রম আইন সংশোধনের জন‍্যে,ন‍্যুনতম মজুরির দাবী তে। এই লংমার্চে পা মেলাবেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী।অত‍্যাচারিত শোষিত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাদের ।এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।আগামী ৩০ শে নভেম্বর থেকে  ১১ ই ডিসেম্বর ,পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন থেকে রাজভবন, তাদের বাঁচার লড়াইয়ে ২৮৩  কিলোমিটার পথ হাঁটবেন অগনিত শ্রমজীবী বন্ধু, কন্ঠে থাকবে..আমরা করবো জয়..নিশ্চয়।তাদের পায়ে পায়ে ফুটবে রক্ত গোলাপ।তারা নির্ভীক…অগনিত সাধারণ মানুষ সাথ দেবে তাদের।১২ দিনে এই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে যাবেন তারা।ছিনিয়ে আনবেন প্রাপ‍্য অধিকার।

যেমন ভাবে কৃষকদের সফল লংমার্চ হয়েছিল নাসিক থেকে মুম্বাই,সিঙ্গুর থেকে  রাজভবন।এই দীর্ঘ যাত্রাপথে শ্রমিকরা দাবী তুলবেন ,এরাজ‍্যের রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বিক্রি করা যাবেনা, দুর্গাপুরের এএসপি,ডিএসপির  বিনিয়োগ ও আধুনিকিকরনের দাবিতে ,এশিয়ার সর্ববৃহৎ রেলইঞ্জিন তৈরির কারখানা বেসরকারীকরনের প্রতিবাদে, এছাড়াও রেলের একাধিক স্টেশন ,একাধিক ট্রেন বেসরকারী করনের বিরুদ্ধে, আঠারো হাজার টাকা ন‍্যুনতম মজুরি র দাবি তে এই লংমার্চ ।বেসরকারি করনের সাথে সাথে বাড়বে মানুষের দূর্গতি,বাড়বে যাত্রীভাড়া,নামবে জীবনযাত্রার মান।এছাড়াও আছে সংযুক্তি করনের নামে ব‍্যাঙ্কের বেসরকারীকরনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।কয়লাখনিতে চলবেনা বিদেশি বিনিয়োগ।রুখে দিতে হবে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেট্রোলিয়ম কোম্পানিকে  বিক্রির সিদ্ধান্ত। দাবি আদায়ের এই দীর্ঘ লড়াইয়ে সকলের পায়ের ছন্দ যেন মিশে যায় একসাথে ,একলক্ষ‍্যে একসুরে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।