সন্দীপ সিংহ: চিন্তন নিউজ:২৪শে জুন:- গত ২১শে জুন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, ব্যান্ডেল মগরা বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে, কে এম ডি এ ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েটস – হুগলি কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড – হুগলি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কলেজ, বিজ্ঞানীদের একাংশ, বিদেশে বসবাসকারী কিছু সহৃদয় ব্যক্তি এবং নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া অগণন মানুষের উজাড় করা সাহায্যের ডালি নিয়ে আমরা উপস্থিত হয়েছি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে। এটা আমাদের তৃতীয় পর্যায়ের উদ্যোগ। এর আগে সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকে, দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকে আমরা পৌঁছেছি।
অন্যান্যবার মূলত এক বা দু’ জায়গা থেকে ত্রাণসামগ্রী বিলি করা হয়েছে। কিন্তু এখনো বহু প্রত্যন্ত দ্বীপভূমিতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি। এবারে ধামাখালি লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ নিয়ে অল্প অল্প সংখ্যায় বিভিন্ন জায়গায় মানুষের আশু প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস পৌঁছে দেবার একটা প্রচেষ্টা আমরা নিয়েছি। হয়তো মানুষের যা প্রয়োজন তার যত্সামান্য জিনিসই পৌছতে পেরেছি, কিন্তু এত মানুষ আমাদের ওপর ভরসা করে তাদের যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের ইচ্ছের মর্যাদা দিয়ে একান্তই দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা আমরা করেছি। এবারে শীতলিয়া ঘোলা পাড়া, কুলখালি, তুষখালী কাছারিপাড়া, খুলনা ইত্যাদি গ্রামে আমরা পৌঁছেছি। এদিন যে সামগ্রীগুলো আমরা তুলে দিয়েছি তাহল বড় মশারি, টর্চ, ছাতু, সয়াবিন, সাবান, ডিটারজেন্ট , বিস্কুট , মুড়ি, মশার ধূপ, শিক্ষার্থীদের জন্য খাতা- পেন , পুনর্ব্যাবহার যোগ্য পুরাতন জামা কাপড় ইত্যাদি।
আগামী 30-06-2020 আবার সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ ত্রাণ বিলির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘিতে ওখানকার দুর্গত মানুষের আকাঙ্ক্ষায় একটা কমিউনিটি কিচেনের থেকে প্রায় ৫০০ মানুষকে কয়েকদিনের জন্য খাবার দেবার দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে । বন্যার জলে ডুবে থাকার জন্য তাদের গ্রাম থেকে তুলে আনতে হয়েছে। চন্দননগরের ইস্পাত সংঘ এ মাসের ২৬ থেকে ২৮ তারিখ সেখানকার রান্না ঘরের দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমরা তাদেরকেও কিছুটা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি । আশা করব সেই মানুষদের পাশে আপনারা সকলে দাঁড়াবেন। আপনাদের সকলের উদ্যোগ ও সহযোগিতা সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষজনের মুখে খানিকটা হলেও হাসি ফুটিয়ে তুলবে আবার তারা ঘুরে দাড়াতে পারবে এই বিশ্বাস আমাদের আছে।