রাজ্য

সাধারণ শ্রমিকদের স্বার্থে অনেকগুলো দাবি”র ভিত্তিতে বিভাগীয় বীমা কর্মচারী সমিতি ” র বিক্ষোভ-সমাবেশ


মিঠুন ভট্টাচার্য্য:চিন্তন নিউজ:২৭শে মে:- কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক আইন লংঘন করে ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ১২ ঘন্টা কাজের নিয়ম করা শ্রমআইন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে

ব্যাংক ও বীমা শিল্পের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে

দেশের সমস্ত জায়গা থেকে ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক চিকিৎসা ও সরকারী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিষেবা দেওয়ার দাবিতে

পশ্চিমবঙ্গের আমফান নামক ঘূর্ণিঝড়কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি সহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ” বিভাগীয় বীমা কর্মচারী সমিতি ” র জলপাইগুড়ি শাখার অধীনস্ত ” লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ” শিলিগুড়ি ব্রাঞ্চ – ২ , এস এফ রোড এলআইসি অফিসের সামনে এলআইসি কর্মীবৃন্দের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ এর ডাক দেওয়া হয়েছিল।

সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশিকা মেনে এলআইসি কর্মীরা হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত পরিবেশ উপেক্ষা করে শুধু বীমা কর্মচারীদের স্বার্থেই নয় সমাজের বৃহৎ স্বার্থে আজ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করেন , রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সময় কালের সাধারণ মানুষ ও শ্রমিক বিরোধী যে সকল আইন তার পরিবর্তন চেয়ে সাধারণ শ্রমিকদের স্বার্থে অনেকগুলো দাবি পেশ করা হয়।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার তোড়জোড় শুরু করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী সারা পৃথিবীব্যাপী ৮ ঘন্টা কাজের ব্যবস্থা সেটাকে সংস্কার করে ভারতবর্ষে১২ ঘণ্টা কাজের নিয়ম চালু করতে চাইছে , ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্র বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া যা সমাজের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বিভাগীয় বীমা কর্মচারী সমিতি , সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি শাখা দুইয়ের সম্পাদক রজত রায় জানিয়েছেন অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের কালাকানুন প্রত্যাহার না করলে , দেশের শ্রমিক বিরোধী ৮ ঘন্টার জায়গায়১২ঘন্টা কাজ করানোর ঘৃন্য পরিকল্পনা যদি করা হয় তার বিরুদ্ধে , করোনা নামক সংকটকালে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য ও চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত না করলে, কয়েকদিন আগের পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণিঝড়কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা না করা হলে তাদের সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছেন , যেভাবে বিভাগীয় বীমা কর্মচারী সমিতি সহ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ভেতরে শক্তিশালী ইউনিয়নের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতিকে প্রত্যাহত করতে সারা বছর কাজ করে এবার এই লড়াইকে রাস্তার লড়াই হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এলআইসির কর্মীবৃন্দ বদ্ধপরিকর।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।