নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ১৯ মে: এভারেস্ট হোক বা কাঞ্চনজঙ্ঘা, পাহাড়ের ওঠার নেশায় হিমালয়ের কোলে ভিড় জমিয়েছেন পর্বতারোহীরা। আট-হাজারি জয় করার আকাঙ্ক্ষা অনেকেরই। সময়ের অপেক্ষায় দেশী-বিদেশী অনেকেই। অনেক পর্বতারোহী ইতিমধ্যেই শৃঙ্গারোহন বা সামিটে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর।
কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে এভারেস্ট, মাকালু থেকে চো-ইউ একের পর এক নিঁখোজ বা মৃত্যুর সংবাদ। গতসপ্তাহের বুধবার কাঞ্চনজঙ্ঘায় মারা গেছেন কুন্তল কাঁড়া ও বিপ্লব বৈদ্য। এছাড়াও নিঁখোজ এক চিনে অভিযাত্রী। বৃহস্পতিবার মাকালু থেকে নিঁখোজ হন দীপঙ্কর ঘোষ। মৃত্যু হয়েছে এক ফৌজি আরোহীর। সাউথ রুট দিয়ে এভারেস্টের সামিট পথ খোলার পরেই মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় পর্বতারোহী রবি ঠক্করের।
কিন্তু কেন এত দুর্ঘটনা ? প্রশ্ন উঠছে। দীপঙ্কর ঘোষের মত দক্ষ পর্বতারোহী ও নিঁখোজ হন কি করে? এর জন্য আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
১২থেকে ১৪ কিলোমিটার উচ্চে নদীর মতো বয়ে চলা ‘জেট-মি ‘– বর্ষা ও স্থানীয় উলম্ব বায়ুর উপর হিমালয়ের আবহাওয়া নির্ভর করে। এই ‘জেট-মি’- এই গরমে উপরে এবং উত্তর দিকে সরে যায়। অবশ্য বিভিন্ন পর্বতশৃঙ্গে বিভিন্নরকম আবহাওয়া। তাই ভালোভাবে আবহাওয়ার খোঁজ খবর নিয়ে যেতে হয়। এছাড়া এ বছর নেপালের ২০ টি শৃঙ্গে পা রাখছেন প্রায় ৭০০জন পর্বতারোহী। এভারেস্ট সামিটে প্রায় ৩৭০ জন। এর ফলে জ্যাম হচ্ছে। তাছাড়া শেরপার কাজে আসছে প্রচুর নতুন জন। ফলে দক্ষ শেরপার অভাব। এছাড়াও এভারেস্টে বেশী আরোহী ফলে আবহাওয়ার খবরাখবর সঠিক থাকে, কিন্তু অন্য শৃঙ্গে সঠিক খবর পাওয়া যায় না। অধিক উচ্চতায় উঠে প্রচণ্ড হাওয়ায় দেহের জল শুকিয়ে যায়, অনেক সময় অক্সিজেন আগেই শেষ হয়ে যায়। প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাইপোথার্মিয়া হয়, ট্র্যাফিক জ্যাম হ’লে এক জায়গায় অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বরফের ক্ষত তৈরি হয় শরীরে।সবমিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে স্পনসরের চাপ, আবহাওয়া, অনভিজ্ঞ শেরপা, পর্বতারোহীদের তাড়াতাড়ি শৃঙ্গ জয়ের নেশা, সবমিলিয়ে বিপদ বাড়ছে।